নারায়ণগঞ্জ র্বাতা ২৪ : গত সপ্তাহে বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার চট্টগ্রাম–কক্সবাজার সফর ঘিরে দক্ষিণ চট্টগ্রামের পথে পথে বিএনপির শোডাউনের পর এবার শোডাউন করল ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। এসময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেন, পরিকল্পিতভাবে বিএনপি ফেনীতে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেছে।
শনিবার দুপুরে আনোয়ারায় আওয়ামীলীগ নেতা আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর স্বরণ সভা শেষে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যাওয়া পথে মহাসড়কের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পথসভায় এ বক্তব্য দেন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি।
চন্দনাইশ, কেরানীহাট, আমিরাবাদ, চকরিয়াসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের আগমন জেনে শত শত নেতা–কর্মীরা রাস্তার পাশে অপেক্ষমান ছিল এবং সংক্ষিপ্ত পথসভাও করেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
আনোয়ারা উপজেলার হাইলধর ইউনিয়নে বশরুজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য আওয়ামীলীগ নেতা আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর স্মরণসভায় ওবায়দুল কাদের ছাড়াও আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম–সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম ও উপ–প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ–দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এবং আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর ছেলে ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি।
ফেনীতে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার জন্য বিএনপিকে দায়ী করে স্বরণসভায় ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিশ্বমিডিয়ায় দেখানোর জন্য পরিকল্পিতভাবে বিএনপি ফেনীতে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেছে। হামলায় আওয়ামী লীগকে দায়ী করা বিষয়ে বলেন, ফেনীতে যদি হামলা আ’লীগ করে, তাহলে সাংবাদিকদের ওপর করবে কেন? আর এমন একটি হামলা যেখানে বিএনপির একজন নেতাকর্মীও আহত হয়নি। আসলে বিএনপিই সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেছে নিউজ বড় হওয়ার জন্য।
তিনি বলেন, সরকারি দল কেন যেচে পড়ে অশান্তি ডেকে আনবে। আমি জনগণের কাছে বিচার দিতে চাই।জনগণকে বলতে চাই, এই হামলা পূর্বপরিকল্পিত। ঢাকায় ফেরার পথে দুইটা বাস রাস্তার উল্টোপাশে দাঁড়িয়েছিল। বিএনপির শ্রমিকদল খালেদা জিয়া বেরিয়ে যাবার পর বাসগুলোতে আগুন দিয়েছে।
আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অভিযোগ করে আরো বলেছেন, খালেদা জিয়া বিমানে না গিয়ে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য সড়কপথে গেছেন। অসুস্থ খালেদা জিয়া বিমানে না গিয়ে ১০ হাজার মানুষকে ত্রাণের প্যাকেট দেওয়ার জন্য চট্টগ্রাম–কক্সবাজারে এসেছিলেন। তিনি পুরোপুরি চট্টগ্রাম–কক্সবাজারের রাস্তা অচল করে দিয়েছেন। কয়েক লাখ রোহিঙ্গার ত্রাণসামগ্রী যাওয়ার পথও তিনি বন্ধ করে দিয়েছিলেন।