রূপগঞ্জে আবারও রফিক-মোশারফ বাহিনীর তান্ডব, আহত ২০

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জমি ব্যবসা নিয়ন্ত্রন ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আবারও রফিক-মোশারফ বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় শর্টগানের গুলিতে পাঁচজন আহত সহ উভয়পক্ষের অন্তত পনের থেক বিশজন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। আহতদের ঢাকা মেডিকেলসহ স্থানীয় কয়েকটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পাঁচটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনয়নের নাওড়া এলাকায় রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ওরফে আন্ডা রফিক ও সাবেক ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেন গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

রাতে সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ সার্কেল) মো. আবির হোসেন।

গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই এই দুই গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। ফলে দুই বাহিনীর মধ্যেই তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। মাত্র তেরো দিনের ব্যবধানে এই দুই গ্রুপের মধ্যে এ নিয়ে তিনবার সংঘর্ষ হলো।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ওরফে আন্ডা রফিকের ছোট ভাই মিজানের নেতৃত্বে ৮০-৯০ জন বিকেল পাঁচটার দিকে সাবেক ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেন এবং তার সমর্থকদের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়। পরে মোশাররফ হোসেনের সমর্থকরাও পাল্টা হামলা চালালে দুই বাহিনীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া পালটা ধাওয়া হয়। এসময় রফিকুল ইসলাম ওরফে আন্ডা রফিকের সমর্থকরা মোশারফ মেম্বারের বাড়িতে হামলা, লুটপাট, গেইট ভাংচুর করে এবং সর্টগানের গুলি চালালে মোশারফ হোসেন এর ৫/৬ জন সমর্থক গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়। এছাড়া উভয় গ্রুপের প্রায় ১৫-২০ জন আহত হয়। আহতদের চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালসহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ সার্কেল) মো: আবির হোসেন বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রনে আছে। তবে গোলাগুলির কোন আলামত পাইনি।

তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থলে প্রচুর পরিমানে ভাঙ্গা ইট পাটকেল ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। ইটের আঘাতে আহত কয়েকজনকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়েছে শুনেছি। কিন্তু কেউ তাদের নাম পরিচয় জানাতে পারেনি। কিছুদিন আগেও রফিকুল ইসলাম ও মোশারফ হোসেন এর দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। এর জের ধরে আজকে আবারও সংঘর্ষ হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে জমি ব্যবসা নিয়ন্ত্রন ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত ২৯ জানুয়ারি নাওড়া এলাকায় এই দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে কয়েকজন গুলিবিদ্ধ সহ উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। পরবর্তীতে দ্বিতীয় দফায় গত ৫ ফেব্রুয়ারি আবারও সংঘর্ষে ১০-১৫ জন আহত হন।

add-content

আরও খবর

পঠিত