গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে প্রস্তুতি সম্পন্ন : না.গঞ্জ ডিসি

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : বন্দর উপজেলায় সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে প্রশাসনিক পর্যায়ে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক৷ তিনি বলেন, আগামী ৮ মে যেহেতু জেলার মাত্র একটি উপজেলাতেই নির্বাচন, তাই সকল ফোর্স সেখানেই নিয়োজিত থাকবে৷ পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে পুরো নির্বাচনী এলাকায়৷বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে বন্দর উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে প্রার্থীদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন৷

ডিসি বলেন, নির্বাচনের দিন আমার চোখ বন্ধ থাকবে৷ যে যাই বলুক না কেন, আমি একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেবো৷ আর আমাদের সুষ্ঠু ইলেকশন করার যে মিশন তাতে আমাদের সহযোগিতা করবেন৷৮ মে বন্দরে যে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে৷ প্রতিটি ইউনিয়নে ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন এবং পাশাপাশি স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবেও থাকবে, যোগ করেন মাহমুদুল হক৷

তিনি আরও বলেন, চারমাস আগে জাতীয় নির্বাচন হয়েছে৷ ওই নির্বাচন যেমন সুষ্ঠু হয়েছে তেমনি এখানেও (বন্দরে) করবো৷ সাংবাদিক ও প্রার্থীদের সহযোগিতা চাই৷

বন্দরের নির্বাচনে কোনো প্রকার অনিয়ম হবার সুযোগ নেই মন্তব্য করে জেলা প্রশাসক বলেন, কেউ এক পার্সেন্টও মনের মধ্যে ধারণা রাখবেন না যে, নির্বাচন কোনোভাবে ম্যানুপুলেট হবে৷জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে আপনাদের এটা আমি বলে যাচ্ছি৷যেহেতু একটা উপজেলা ইলেকশন, তাই আমাদের সকল ফোর্স এদিকেই থাকবে৷

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমীর খসরু বলেন, জেলা পুলিশ একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন করতে সহযোগিতা করবে৷

সভায় চেয়ারম্যান প্রার্থী আতাউর রহমান মুকুল জানান, নির্বাচনের সুষ্ঠুতা ও নির্বাচনের দিনের পরিবেশ নিয়ে ভোটারদের মধ্যে শঙ্কা রয়েছে৷
দুইবারের উপজেলা চেয়ারম্যান ও মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মুকুল বলেন, প্রচারে গেলে ভোটাররা প্রশ্ন করেন, তারা কি ভোট দিতে যেতে পারবেন বা গেলেও ভোটটা দিতে পারবেন কিনা৷ ভোটারদের কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া আমাদের (প্রার্থীদের) দায়িত্ব৷ কিন্তু তারা যাতে সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট দিতে পারেন সেটা দেখা আপনাদের (প্রশাসন) দায়িত্ব৷ আমি আশা করবো, ভোটাররা কেন্দ্রে গিয়ে তারা তাদের ভোট দিয়ে আবার সুস্থভাবে যেন বাড়ি ফিরতে পারে৷এটাই চাওয়া৷

আরেক ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী শহীদুল ইসলাম জুয়েল ভোটের দিন নির্বাচনী এলাকাগুলোতে অবস্থিত কারখানাগুলো বন্ধ রাখার দাবি জানান৷
মতবিনিময় সভায় এ দুই প্রার্থী ছাড়া অন্যরা কোনো কথা বলেননি৷ অল্প সময়ের মধ্যেই প্রার্থীদের নিয়ে এ মতবিনিময় সভার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়৷

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বন্দর উপজেলা নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কাজী ইস্তাফিজুল হক আকন্দ, বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এমএ মুহাইমিন আল জিহান, উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী এমএ রশীদ, মাকসুদ হোসেন, মাহমুদুল হাসান শুভ, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সানাউল্লাহ সানু, আলমগীর হোসেন, মোশাঈদ রহমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ছালিমা হোসেন ও মাহমুদা আক্তার।

add-content

আরও খবর

পঠিত