নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( নিজস্ব প্রতিবেদক ) : জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাৎ বার্ষিকী শ্রদ্ধা জানিয়ে সোনারগাঁ থানাধীন মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এবং মিড সিটি গ্রুপ এর উপদেষ্টা হাজী শাহ্ মো.সোহাগ রনি বলেছেন, যার ডাকে প্রশিক্ষিত হানাদারের বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছিল বাংলার মানুষ, নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ছিনিয়ে এনেছিল স্বাধীনতা- শোকের আবহ নিয়ে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সেই বাঙালিকে হারানোর দিনটি ফিরে এলো। আজ থেকে ৪৫ বছর আগের এই রাতে ঘাতকের বুলেট কেড়ে নেয় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রাণ।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সেনাবাহিনীর একদল বিপথগামী, উশৃঙ্খল সদস্য বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিকেই শুধু হত্যা করেনি, তার পরিবারের ৮ বছরের শিশু থেকে শুরু করে তাদের হাত থেকে রেহাই পায়নি অন্ত:সত্ত্বা নারীও ।
ইতিহাসের জঘন্যতম সেই হত্যাকান্ডের মধ্য দিয়ে শুধু স্বাধীনতার স্থপতিকেই হারায়নি বাঙালি, দীর্ঘকালের শাসন-শোষণ থেকে মুক্ত হয়ে জাতীয় জীবনের যে অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছিল তাও উল্টো পথে যাত্রা শুরু করে। স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি আবার জেঁকে বসে এদেশের বুকে, যে স্বপ্ন-চেতনায় স্বাধীন হয়ে ছিল দেশ তাও হয় অবদমিত।
দুই দশকের বেশি সময় পর ১৯৯৬ সালে স্বাধীনতার নেতৃত্ব দেওয়া দল আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগ পর্যন্ত সেই বঙ্গবন্ধুই থেকে যান অগোচরে, উপেক্ষিত থেকে যায় তার নীতি-আদর্শ। বিকৃত করা হয় ইতিহাস।
আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৬ সালে ১৫ অগাস্টকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণার পর রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতাকে স্মরণ করার সুযোগ পায় বাংলাদেশ। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলের পাঁচ বছরে আবারও বাতিল করা হয় সেই শোকের দিবস।
তবে তাতে আটকে যায়নি বঙ্গবন্ধুর প্রতি এদেশের মানুষের শ্রদ্ধা-ভালোবাসার বহি:প্রকাশ। বরং ঘাতকদের প্রতি প্রকাশ হয়েছে ঘৃণা আর অভিশাপ।
বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, আসুন, জাতীয় শোক দিবসে আমরা জাতির পিতাকে হারানোর শোককে শক্তিতে রূপান্তর করি এবং তার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে আত্মনিয়োগ করি।
আসুন, আমরা জাতির পিতা হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করি। সবাই মিলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলি। জাতীয় শোক দিবসে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।