নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বিশেষ প্রতিনিধি ) : সড়ক দুর্ঘটনা নতুন কিছু নয়। প্রতিনিয়তিই এতে কেউ মারা যাচ্ছেন আবার কেউ গুরুতর আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করছেন। এসব দুর্ঘটনা এড়াতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিচ্ছেন নানা পদক্ষেপ। তবে নগরীর ফতুল্লা কায়েমপুর এলাকার শাখা সড়কে বিদ্যুতের খুঁটি রেখেই সম্পন্ন হয়েছে সড়কের কাজ।
জানা গেছে, প্রায় পাঁচ বছর ধরে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড ঘেষাঁ এ শাখা সড়কের মাঝখানে দন্ডায়মান রয়েছে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটি। কিন্তু তা সরানোর কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পাঁচ বছরে কায়েমপুরের এ সড়কটিতে একাধিকবার সংস্কার ও প্রশস্তের কাজ করা হয়েছে। তবে বৈদ্যুতিক খুঁটি সড়কের মাঝেই পড়ে আছে। এখন এ খুটি ঘেঁষেই ঝুঁকিপূর্ণভাবে যানবাহন চলাচল করছে। রাতের অন্ধকারে চলাচল করতে গেলে অনেক সময়ই র্দূঘটনার শিকার হয় পথচারীরা। তাছাড়া খুঁটির দুই পাশ দিয়ে সবসময়ই রিকশা, সিএনজি ও পণ্যবাহী পিকআপ চলাচল করছে। বিভিন্নসময়ই খুটির সাথে ধাক্কা লেগে ছোট বড় যানবাহন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। যার বিকট শব্দে অনেক সময়ই স্থানীয়দের ঘুম নষ্ট হয়। তাছাড়া খুঁটির কয়েকটি স্থানে গাড়ির ধাক্কার চিহ্নও রয়েছে। তবে চোখের সামনে এমন খুঁটি সরাতে এত বছরেও কেউ উদ্যোগ নিচ্ছে না বলে জানায় তারা।
ব্যটারিচালিত অটোরিকশা চালক নিজাম বলেন, আগে রাস্তা ছোট ছিল। তখন বিদ্যুতের খুঁটি রাস্তার পাশেই ছিল চলাচলে তেমন কোনো অসুবিধা হয়নি কিন্তু এখন রাস্তা বড় করায় বিদ্যুতের খুঁটি একেবারে রাস্তার মাঝখানে চলে এসেছে। বিদ্যুতের খুঁটিগুলো তাড়াতাড়ি সরানো প্রয়োজন। না হলে আমাগো মত চালকেরা বেশী সমস্যয় পড়ি। সারাদিনে যা কামাই, কিছু ক্ষয়ক্ষতি হলে আমরা ঠিক করতেও বাড়তি ঝামেলায় পড়মু।
কায়েমপুর এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, সড়কের কাজ সম্পন্ন হওয়ায় হওয়ায় আমরা খুশি। তবে বিদ্যুতের খাম্বাটি এখনই সরানো উচিত। সব কাজের আগে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা প্রয়োজন। এই সড়কে যা হয়েছে তা হলো পরিকল্পনাবিহীন কাজ। কাজ শেষে একদিকে সওজ দায় এড়িয়ে যাবে, অন্যদিকে নানা অজুহাত তৈরি করবে বিদ্যুৎ বিভাগ। ফলে খুঁটি তার জায়গায়ই দাড়িয়ে আছে। এতে দুর্ঘটনার মাধ্যমে প্রাণহানির আশঙ্কা যেমন থাকবে তেমনি সড়ক প্রস্তুতকরণের কোনো সুফল আসবে না।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপন জানান, আমি এ বিষয়ে সংস্কারকালেই ঠিকাদারকে বলেছিলাম এটা সারনোর ব্যবস্থা করতে। কিন্তু ডিপিডিসি কর্তৃপক্ষের অযুহাতে তারা কোন উদ্যোগ নেয়নি। যেহেতু আপনারা সংবাদপত্রে তুলে ধরছেন, এতে মানুষের উপকার হবে। আর এজন্য আমি আবারো এটা সরিয়ে নিতে আবেদন জানাবো।