নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে র্যাবের অভিযানে বিপুল পরিমানে ইয়াবা সহ আমির হামজা ওরফে মেহেদী হাসান (২৪), মো. হৃদয় শেখ (২৬) ও তুহিন হোসেন (২৪) নামে তিন জন মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১ দল। আজ ২৫ই ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে সোনারগাঁ থানাধীন আষাঢ়িয়ারচর এলাকায় বিসমিল্লাহ ফিলিং স্টেশনের সামনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ঢাকাগামী পাকা রাস্তার উপর চেকপোষ্ট স্থাপন করে কক্সবাজার থেকে পাবনাগামী একটি ট্রাকে তল্লাশী করে ইয়াবা সহ তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এ সময় ট্রাকে তল্লাশী করে ৭ হাজার ৭শত ৩০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে র্যাব-১১। অভিযানকালে এ সময় মাদক ব্যবসার কাজে ব্যবহৃত ট্রাকটিও জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী আমির হামজা ওরফে মেহেদী হাসান (২৪) এর বাড়ি পাবনা জেলার সদর থানাধীন কবিরপুর এলাকায়, মো. হৃদয় শেখ এর বাড়ি পাবনা জেলার সদর থানাধীন গজমতিকুন্টা এলাকায় ও তুহিন হোসেন এর বাড়ি পাবনা জেলার সদর থানাধীন মহেন্দ্রপুর এলাকায় বলে জানা যায়।
২৫ই ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকালে নারায়ণগঞ্জ বার্তাকে র্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী, পিপিএম এক প্রেরিত বার্তায় জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীরা দীর্ঘদিন ধরে পরস্পর যোগসাজশে ট্রাকে বিভিন্ন পণ্য পরিবহনের আড়ালে অভিনব কায়দায় নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা কক্সবাজার অঞ্চলের দিক থেকে আনয়ন করে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করে আসছে বলে জানা যায়। এরই ধারাবাহিকতায় গ্রেফতারকৃত আসামীরা পরষ্পর যোগসাজশে গত ২৪ই ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় লবণবোঝাই ট্রাকযোগে ইয়াবা ট্যাবলেট এর চালান নিয়ে কক্সবাজার হতে পাবনার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়।
র্যাবের ওই কর্মকতা আরো জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১ নারায়ণগঞ্জ এর একটি আভিযানিক দল সোনারগাঁ থানাধীন আষাঢ়িয়ারচর এলাকায় বিসমিল্লাহ ফিলিং স্টেশনের সামনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ঢাকাগামী পাকা রাস্তার উপর চেকপোষ্ট স্থাপন করে ২৫ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় দিকে মাদক পাচারকারীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
র্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দীন জানান, নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করে যে ট্রাকের সামনে চালকের আসনের সাথে স্টীয়ারিং এর নিচের দিকে বিশেষ কৌশলে পাচারকৃত ইয়াবাগুলো লুকানো রয়েছে। পরে তাদের দেখানো মতে চালকের আসনের সাথে স্টীয়ারিং এর নিচের দিক হতে ৭ হাজার ৭ শত ৩০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা আরো স্বীকার করে যে, দীর্ঘদিন ধরে তারা এভাবে অভিনব কৌশলে ইয়াবা পাচার করে আসছে। মূলত ট্রাক চালানো তাদের একটি ছদ্মবেশ মাত্র বলে জানা যায়। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।