জরুরি সতর্ক বার্তা : রাতে করোনা রোগী খোঁজলে দরজা খুলবেন না !

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : সেনাবাহিনী বা পুলিশ পরিচয়ে কোন বাসাবাড়ীতে রাতের বেলা করোনা রোগীর খোঁজ নিতে দরজা খুলতে বললে কেউ দরজা খুলবেন না এমন সর্তকবার্তা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ। শনিবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এ বিজ্ঞপ্তিতে জরুরী সর্তক বার্তা দেয়া হয়েছে।যদি কেউ ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, সেনাবাহিনী বা পুলিশ পরিচয়ে করোনা রোগী নিয়ে যেতে চেষ্টা করে তাহলে দরজা না খুলে সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জ বা ডিউটি অফিসার অথবা জেলা পুলিশ কন্ট্রোলরুম (০১৭৬৯৬৯৪৫৬৮) নম্বরে ফোন করে নিশ্চিত হতে বলা হয়েছে।

জরুরি সতর্ক বার্তায় আরো বলা হয়েছে, ইদানিং লক্ষ্য করা যাচ্ছে কিছু দুস্কৃতিকারী করোনা ভাইরাসের দোহাই দিয়ে ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, সেনাবাহিনী বা পুলিশ পরিচয়ে অপকর্ম করার চেষ্টা করছে। তাই এমন পরিস্থিতীর কেউ সম্মুখীন হলে নিকটস্থ থানায় যোগাযোগ করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো। এছাড়াও যে কোন আইনগত সহায়তার জন্য ফোন করুন এসব নম্বরে।

নারায়ণগঞ্জ জেলার সকল থানাসমুহের ফোন নাম্বার- নারায়ণগঞ্জ মডেল থানা- অফিসার ইনচার্জ- ০১৭১৩৩৭৩৩৪৫ ডিউটি অফিসার- ০১৯৪৮২৫৬৫৭৭। ফতুল্লা মডেল থানা- অফিসার ইনচার্জ- ০১৭১৩৩৭৩৩৪৬, ডিউটি অফিসার- ০১৯৪৮২৫৬৫৭৯। বন্দর থানা- অফিসার ইনচার্জ- ০১৭১৩৩৭৩৩৪৭, ডিউটি অফিসার- ০১৯৪৮২৫৬৫৮৩। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা- অফিসার ইনচার্জ- ০১৭১৩৩৭৩৩৪৮ , ডিউটি অফিসার- ০১৯৪৮২৫৬৫৮১ । আড়াইহাজার থানা- অফিসার ইনচার্জ- ০১৭১৩৩৭৩৩৪৯ , ডিউটি অফিসার- ০১৯৪৮২৫৬৫৮৭ । সোনারগাঁও থানা- অফিসার ইনচার্জ- ০১৭১৩৩৭৩৩৫০, ডিউটি অফিসার- ০১৯৪৮২৫৬৫৯০। রূপগঞ্জ থানা- অফিসার ইনচার্জ- ০১৭১৩৩৭৩৩৫১ , ডিউটি অফিসার- ০১৯৪৮২৫৬৫৮৫  ঘরেই থাকুন, নিরাপদে থাকুন।

এদিকে অসমর্থিত সূত্র, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে একটি ঘটনা।সর্তকতা অবলম্বনে যা হুবুহু তুলে ধরা হল।

রাত আনুমানিক একটার দিকে টাঙ্গাইলে ওর বিল্ডিং-এ তিন চার জন মানুষ এসে বিল্ডিং এর গার্ডকে বাহির হতে ডেকে জানান যে, তারা হাসপাতাল থেকে এসেছেন, কারণ তাদের কাছে তথ্য রয়েছে যে এ বিল্ডিং-এ করোনা আক্রান্ত রোগী রয়েছে এবং তাকে তারা নেবার জন্য এসেছেন। তারা বার বার গার্ডকে মেইন গেট খুলে দেবার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। গার্ড এর বর্ণনা মোতাবেক তাদের দুই/তিন জন পিপিই, মাস্ক ও গ্লাভস পড়া এবং দু’জন সেনাবাহিনীর পোষাক পড়া ছিলেন। তাদেরও মাস্ক ও গ্লাভস পড়া ছিল। তারা সেনাবাহিনীর পোষাক পড়া লোকদেরকে দেখিয়ে দ্রুত গেট খোলার জন্য তাগিদ দিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু গার্ড খানিকটা ত্যাড়া প্রকৃতির হওয়ায় তাদেরকে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেন এখন স্বয়ং বাড়িওয়ালা উপর থেকে এসে গেট খোলার জন্য তাকে বললেও তিনি কিছুতেই গেট খুলে দেবেন না। তাদের যদি সত্যি সত্যিই করোনা রোগী নিয়ে যেতে হয় তবে সকাল পর্যন্ত বাহিরে অপেক্ষা করতে হবে। কোনভাবেই গার্ড গেট খুলে না দেয়ায় তারা তাকে যাচ্ছেতাই ভাষায় গালিগালাজ করে চলে যায় এবং শাসিয়ে যায় যে সকালে এসে তাকে দেখে নেবে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে সকালে কেউ এসে সে বাড়িতে করোনা রোগী নিতে আসেনি, কারণ সে বাড়িতে প্রকৃতপক্ষে কোন করোনা রোগী নেই। সুতরাং ধারণা করা যাচ্ছে যে রাত একটার দিকে যারা সে বাড়িতে করোনা রোগী নেবার জন্য এসেছিল তারা চোর বা ডাকাত হতে পারে। গার্ড এর সুবুদ্ধির কারণে পুরো বিল্ডিং অযাচিত দূর্ঘটনা হতে রক্ষা পেয়েছে। ঘটনাটি আমি এজন্য শেয়ার করছি যে করোনার এ কঠিন সময়েও তস্করদের সুযোগ খোঁজার চেষ্টার কমতি নেই। আমি তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি (নতুন মোডাস অপারেন্ডি) যেন বিষয়টির দিকে খেয়াল রাখার চেষ্টা করেন। আর সমস্ত বাড়িওয়ালাদের /ফ্ল্যাট এর মালিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি তারা যেন তাদের বাড়ির দারোয়ান/ গার্ডকে এ বিষয়ে সতর্ক করে দেন।

add-content

আরও খবর

পঠিত