নারায়ণগঞ্জ র্বাতা ২৪ : আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চাঙ্গা হয়ে উঠছে বন্দরের বিএনপি দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। অভ্যন্তরীন কোন্দলের কারণে বন্দরে বিএনপি’র কার্যক্রম দুটি গ্রুপে ভাগ হয়ে যেভাবে পরিচালিত হচ্ছে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থী বাছাই ও মনোনয়ন দেয়ার পরিকল্পনাও অনুরূপভাবে পরিচালিত হচ্ছে। বিএনপি’র কালাম-মুকুল গ্রুপে ইতোমধ্যে বন্দর ও ধামগড় ইউনিয়ন ছাড়া ৩টি ইউনিয়নে তাদের প্রার্থী’র নাম ঘোষণা দিলেও তৈমুর গ্রুপের ৫ইউনিয়নেই প্রার্থী নির্ধারণ অনেকটা নিশ্চিত করা হয়েছে।
কলাগাছিয়া ইউনিয়নে কালাম গ্রুপের মহিউদ্দিন শিশির, তৈমুর গ্রুপের বুলবুল আহমেদ, বন্দর ইউনিয়নে যুবদলের সভাপতি তৈমুর বলয়ের পারভেজ খান ও কালাম-মুকুল গ্রুপের আরিফ মোল্লা,মদনপুর ইউনিয়নে তৈমুর গ্রুপের শক্তিশালী প্রর্থী মাজহারুল ইসলাম হীরণ,কালাম-মুকুল গ্রুপে কাবিল হোসেন, মুসাপুর ইউনিয়নে কালাম-মুকুল গ্রুপে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে রিয়াজুল ইসলামের শোনা গেলেও তৈমুর বলয়ের যুবদল নেতা শাহিন আহাম্মদের নাম সর্বত্রই প্রচারিত হচ্ছে। এছাড়া ধামগড় ইউনিয়নে তৈমুর গ্রুপের যুবদল নেতা মাসুদ রানার নাম উঠে আসলেও বিদ্রোহী গ্রুপের কারো নাম এখনো ঘোষণা দেয়া হয়নি। উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ইতোমধ্যে সরকার দলীয় আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী নির্ধারণ প্রায় চুড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছতে শুরু করছে।
তবে এক্ষেত্রে বিএনপি দলীয় প্রার্থীদের ধারণা, নির্বাচন সুষ্ঠ হলে কলাগাছিয়া ইউনিয়নে মহিউদ্দিন শিশিরের বাজিমাত করার বিষয়টিকে উড়িয়ে দেয়ার কোন সুযোগ নেই, মুসাপুরে শাহিন আহাম্মদ, ধামগড় ইউনিয়নে মাসুদ রানা এবং মদনপুর ইউনিয়নের মাজহারুল ইসলাম হীরণ হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে নিঃসন্দেহে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে অবতীর্ণ হতে পারবে।
এদিকে মহাজোটের শরীক দল হিসেবে পরিচিত জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের পক্ষে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব একেএম সেলিম ওসমানের পরোক্ষ সমর্থন থাকায় আওয়ামীলীগের প্রার্থীরা একরকম কোনঠাসা হয়ে পড়ছে। এ কারণে বর্তমানে জাতীয় পার্টিই যেন আওয়ামীলীগের মূল প্রতিপক্ষ হয়ে দাড়িয়েছে। সম্প্রতি ৪টি ইউনিয়নে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ঘোষনার পর হতে আওয়ামীলীগের প্রার্থীদের মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে। তারা এমপি’র পছন্দনীয় প্রার্থীদের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্ধিতা করে আদৌ সফল হতে পারবেন কি না সে বিষয়ে সন্দেহের যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে। বিজ্ঞ মহলের মতে, আওয়ামীলীগ-জাতীয় পার্টির একে-অপরের প্রতিদ্বন্ধিতার ফলে সুবিধাজনক অবস্থানে সুযোগকে কাজে লাগানোর অপেক্ষায় রয়েছে বিএনপি।