নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রির্পোটার ) : ফতুল্লা কুতুবপুর লামাপাড়ার ভয়ংকর এক সন্ত্রাসীর নাম চুন্নু। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, জমিদখল, অস্র ও মাদকের একাধিক মামলা রয়েছে। চলতি বছরের ২০ এপ্রিল অস্র ও মাদক সহ তার নিজ বাড়ী থেকে আটক করে ফতুল্লা থানা পুলিশ। বতর্মান সে কারাগারে থাকলেও বন্ধ হয়নি তার আধিপত্য বিস্তারের একক নিয়ন্ত্রন। বর্তমানে তার ভায়রা শরীফ আধিপত্যকে ধরে রাখতে এলাকায় বহিরাগত সন্ত্রাসীদের অস্র মহড়া চালায়। তার সাথে রয়েছে বাদশা, তোফাজ্জল, রানা ও জনি। আর এই খলিফাদের নিয়ন্ত্রনেই চলছে মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজী, ভূমিদস্যুতা সহ নানা অপকর্ম।
অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যপক অভিযোগ। একাধিক অপরাধের জন্য ফতুল্লা থানায় রয়েছে একাধিক মামলা। বিবরণে জানা গেছে, ২০০৩ সালে কুতুবপুর মির হোসেনের বাড়ী থেকে অস্র সহ শরিফ, তোফাজ্জলকে আটক করে ফতুল্লা থানা পুলিশ। এছাড়াও ২০১৫ সালের ২২ আগষ্ট কুতুবপুর নয়ামাটি এলাকার আম্বর আলীর স্ত্রী নাজমা বেগম মারপিট, জখম, শ্লীলতাহানি, প্রাণ নাশের হুমকী ও চুরির অভিযোগ এনে শরীফ, বাদশা, তোফাজ্জল, রানা সহ আরো একাধিক ব্যক্তির নাম উল্লেখ্য করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ৬৬। ২০১৬ সালের ২রা আগষ্ট র্যাব-১১ এর অভিযানে বিপুল পরিমান মাদক ও বিক্রির নগদ অর্থ সহ আটক হয় বাদশা, শামীম, মামুন সহ চার জন ব্যবসায়ী।
এরপর, ২০১৭ সালের ১৩ অক্টোবর র্যাব-১১ এর অভিযানে মাদক বিক্রির নগদ অর্থ ও মাদক সহ আটক হয় শরিফ ও বিল্লাল। এসময় তাদের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মাদক মামলা রুজু করা হয়। অপরদিকে, ২০১৮ সালের ২১ জুলাই চুরির মামলায় শরীফ সহ আরো একাধিক অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করা হয়। তবে এরা একাধিক বার জেলা গোয়েন্দা, পুলিশ, র্যাব এর হাতে মাদক ও অস্র সহ নানা অপরাধে আটক হলেও বেরিয়ে এসে তাদের সংঘবদ্ধ সিন্ডকেট তৎপর থেকে যায়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, চুন্নুর কারণে নয়ামাটি, লামাপাড়া এলাকায় কেউ নতুন বাড়ি করতে সাহস পায়না। তাকে মোটা অংকের টাকা চাঁদা না দিলে কেউ বাড়ি বা ফ্যাক্টরীতে একটি ইটও লাগাতে পারেনা। নতুন জমি বেচাকেনাতেও চুন্নু বাহিনীকে মোটা অংকের টাকা দিতে হয়। আশেপাশের এলাকায় জমির দাম বাড়লেও চুন্নু বাহিনীর চাঁদাবাজীর কারণে এ এলাকায় এখনও জমির দাম অনেক কম।