নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সৈয়দ সিফাত লিংকন ) : কয়েকদিন যাবত নগরীতে বয়ে যাচ্ছে প্রবল শৈত্যপ্রবাহ। ঘনকুয়াশার সাথে হিমেল ছুয়ে যাচ্ছে হাড় কাপানো বাতাস। রাতের আধারের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এর তীব্রতা। এতে খেটে খাওয়া, চাকুরিরত, পথযাত্রীসহ যানবাহন চালকেরা পড়েছেন চরম বিপাকে। বেলা ১১টা কিংবা দুপুরের দিকে হালকা সুর্যের মুখ দেখা গেলেও তা বিকেল ঘনিয়ে আসার আগেই আবার তা ঘনকুয়াশায় চারদিক ঢেকে যায়। ঘনকুয়াশার কারণে খেটে খাওয়া মানুষের কাজে যেতে যেমনি হচ্ছে বিলম্ব। তেমনি সড়কে যানবাহন নিয়ে বের হতে পারছেনা অনেক চালকরা।
গত ৭-৮ দিন যাবত এই প্রবল শৈত্যপ্রবাহ প্রত্যন্ত এলাকা ছাড়িয়ে এখন শহর এলাকাও শীতল করে দিয়েছে। তবে পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র না থাকায় বিপাকে পড়েছে ছিন্নমূল সহ হতদরিদ্র মানুষের জীবন। ফলে শহরের প্রধান সড়কগুলো তেমন ফাঁকা না হলেও জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কর্মস্থলে সময় মত পৌঁছাতে হিমশিমে চাকুরিরতরা। সবমিলিয়ে কয়েক দিনে নগরবাসীর জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
এদিকে রাতে প্রচন্ড শীতের কারণে বিভিন্ন সড়কের পাশে কাঠ, বাশঁ ও টায়ার দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করতে দেখা গেছে পথচারী সহ লোকজনকে। কনকনে শীতে জবুথুবু হয়ে পড়েছে শহরবাসীর জনজীবন। তার সাথে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ। এতে শিশুর পাশাপাশি আক্রান্ত হচ্ছেন বড়রাও।
শহরের খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতাল ও নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এখন ভীড় জমাচ্ছেন ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীরা। প্রতিদিনই ১০-১৫ জন শিশু ভর্তি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক।