মাহমুদনগরে কর্ণফুলি ডকইয়ার্ডের সম্পত্তি নিয়ে ফের উত্তেজনা

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর সংবাদদাতা ) : বন্দরে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরের সম্পত্তির মালিকানা নিয়ে দুই গ্রুপের মুখোমুখি ঘটনায় আবারো উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। রোববার উচ্ছেদ হওয়া আলিনা ডকইয়ার্ডের মালিক মাহফুজুল ইসলাম মাফু এলাকাবাসীকে নিয়ে কর্ণফুলি ডকইয়ার্ড অভ্যন্তরে বাশের বেড়া স্থাপন করলেও বন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান  সানাউল্লাহ সানু ও এলাকার পঞ্চায়েতের কর্মকর্তাদের আশ্¦াসে স্বেচ্ছায় বাশের বেড়া সরিয়ে নেয় ভুক্তভোগী মাফু। এ ঘটনায় বন্দর থানা ও মদনগঞ্জ ফাঁড়ির দুইটি ঘটনাস্থলে অবস্থান নেয়। তবে কোনো সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে কর্ণফুলি ডকইয়ার্ডের জেনালে ম্যানেজার মহসিন মিয়ার সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, আলিনা ডকইয়ার্ডের মালিক মাহফুজুল ইসলাম মাফকেু জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে বর্ণিত শর্ত অনুযায়ী তার সম্পত্তির যাবতীয় মুল্যের অর্ধেক প্রথমে দেয়া হয় এবং অবশিষ্ট অর্ধেক মামলা তুলে নেয়ার পর নিতে বলা হলেও, সে ৩০লাখ টাকা নেয় এবং মামলা তোলার জন্য ৫লাখ টাকা দেয়ার পরও মামলা না তুলে নেয়ায় কর্ণফুলি কর্তৃপক্ষ অবশিষ্ট টাকা দেয়া থেকে বিরত থাকে। অথচ তারপরও সে  জোরপূর্বক ডকইয়ার্ডের ভেতরে ঢুকে বাশের বেড়া স্থাপন করে।

অপরদিকে মাহমুদনগর এলাকার পঞ্চায়েত কমিটির কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, কর্ণফুলি কর্তৃপক্ষ একটি নিরীহ পরিবারের প্রতি অবিচার চালাচ্ছে। তারা মাফু এর ন্যায্য পাওনা না দিয়ে জোর জুলুম করছে। আমরা চাই কর্ণফুলি কর্তৃপক্ষ বৃহৎ একটি প্রতিষ্ঠান নিরীহ মাফুর সম্পত্তির ন্যায্য মূল যাতে তাকে দেয়া হয়  এবং সে যাতে তার পরিবার পরিজন নিয়ে জীবন যাপন করতে পারে সেই লক্ষ্যে এই প্রতিষ্ঠানে তাকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেয়। পরে সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মহানগর জাতীয় পার্টির আহবায়ক সানাউল্লাহ সানু এবং মাহমুদনগর এলাকার বিশিষ্ট শিল্পপতি হাজী নিজামউদ্দিন আহাম্মদ ও হাজী আবদুস সালাম খানের আশ^াসে মাফু তার বাশের বেড়া সরিয়ে নেয়।

add-content

আরও খবর

পঠিত