নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : বন্দরে দুই নৈশ প্রহরীকে হত্যা করে ডাকাতির ঘটনায় ৭ জনতক গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে একজন লুটকৃত মালামাল ক্রয়কৃত আসামী মো. আতিকুর রহমান(২৫)। গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা হলেন- মো. মোক্তার হোসেন(২২), রনি হোসেন(২০), রানা ফকির (২১), জাহিদুল শরিফ ওরফে তৌহিদুল(২৪), জসীম ওরফে মান্না(২৬), মো. শাওন রানা(২১)। এরমধ্যে লুটকৃত মালামাল ক্রয়কৃত আসামী মো. আতিকুর রহমান(২৫)।
সোমবার (৩০ জুলাই) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মঈনুল হক, বিপিএম, পিপিএম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এসময় তিনি আরো বলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) মো. নূরে আলম এর নেতৃত্বে ডিবির আরেকটি শাখার উপ পরিদর্শক (এসআই) মফিজুল ইসলাম, পিপিএম, সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) শামীম হোসেন এবং মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক গিয়াসউদ্দিনের টিম নং-০৩ সহ প্রযুক্তির মাধ্যমে ঢাকার যাত্রাবাড়ি, সোনারগাঁ থানাধীন দাশনা গ্রামে ডেমরার সারুলিয়া মহাখালী এলাকায় ২৯ জুলাই বিকেল হতে অভিযান পরিচালনা করে ডাকাত দলের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করে। এ সময় গ্রেফতারকৃত ডাকাত সদস্যদের হেফাজত হতে ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপ (ঢাকা মেট্রো-১৩-৬৯৫০)সহ একটি লোহার শাবল উদ্ধার করা হয়।
এরপর ডাকাত সদস্যদের স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে, গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর থানাধীন তারগাছ এলাকার মায়ের দোয়া ও তামান্না মটরস নামে দোকানে অভিযান পরিচালনা করে মায়ের দোয়া দোকানের ম্যানেজার মো. আতিকুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে লুন্ঠিত ব্যাটারির মধ্যে বিভিন্ন ব্রান্ডের ৭০ হাজার টাকা মূল্যমানের ব্যাটারি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সুপার আরো জানান, গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা পেশাদার ডাকাত দলের সদস্য। তারা তাদের দলীয় প্রধান মোক্তার হোসেনের নেতৃত্বে দেশের বিভিন্ন স্থানে গ্যারেজ ও দোকানে ডাকাতি করে থাকে। উক্ত ডাকাত দলের মোট সদস্য ছিল ১১ জন। এদের মধ্যে ৬ জনকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। পলাতক আসামীদের গ্রেফতার ও লুট করা অবশিষ্ট মালামাল উদ্ধারের কাজ অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া এই চক্রের সঙ্গে ডাকাতির মালামাল ক্রয় এমন বেশ কিছু সদস্য রয়েছে।
তিনি আরো জানান, গ্রেফতারকৃতদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২১ জুলাই গভীর রাতে বন্দর থানাধীন লক্ষনখোলা মাদ্রাসা বাজারে অজ্ঞাতনামা ডাকাত সদস্য ডাকাতির সময় বাজারে নৈশ প্রহরী রায়হান উদ্দিন (৩৫) ও মোতালেব (৫৫) কে নৃশংসভাবে হত্যা করে বাজারের বিসমিল্লাহ ব্যাটারি, সততা ব্যাটারি মেলা ও সততা ব্যাটারি সার্ভিসিং নামক দোকান হতে প্রায় ২৮ লক্ষ টাকা মূল্যমানের বিভিন্ন ব্রান্ডের ব্যাটারি লুট করে নিয়ে যায়। এ সংক্রান্ত বন্দর থানায় ধারা ৩৯৯ অনুযায়ী একটি মামলা রুজু হয়। মামলার নং-৫৩।
মামলাটি চাঞ্চল্যকর ও স্পর্শকাতর হওয়াতে পলিশ সুপার মঈনুল হক, বিপিএম, পিপিএম মামলাটি জেলা গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) ন্যস্ত করেন।