নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর সংবাদদাতা ) : বন্দরে দাশেঁর গাঁ ধেকে মুছাপুর ইউনিয়নস্থ প্রেমতলা পর্যন্ত সড়কে প্রায় ৫কি.মি.রাস্তা মরণ ফাদে পরিনিত হয়েছে। চলাচলেরঅনুপযোগী হয়ে পড়া সমস্ত সড়ক জুড়েই ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় শতধিক গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
এসব খানা-খন্দকের অল্প বৃষ্টিতেই জমছে হাটুপানি, ফলে এ পথে চলাচলরত হাজারও মানুষকে প্রতিনিয়তই পোহাতে হচ্ছে চরম দূর্ভোগ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দাশের গাঁ থেকে মুছাপুর প্রেমতলা পর্যন্ত সম্পূর্ন সড়কেরই যেন বেহাল দশা। চলতি মাসের কয়েক দিনের বৃষ্টিতে, পানির একমাত্র আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে ওই সড়কের খানা-খন্দকগুলোতে ।দূর থেকে দেখলে মনে হয় রাস্তার মাঝে ছোট খাটো ডোবা অথবা জলাশয়। দাশের গাঁ বিদুৎ অফিসের, মুছাপুর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার জাহাঙ্গীর হোসেনের বাড়ি, কিংবা দাশের গাঁ জামে মসজিদের সামনে যেখানেই চোখ পড়েনা কেন অসহায় এ সড়কের করুন অবস্থার প্রমান মিলবে, যেন সড়কটি নিষ্ফল সন্তান ।
স্থানীয় অন্তত ৫-৬ বাসীন্দার সাথে একান্ত আলাপকালে জানা যায়, এই সড়ক দিয়ে ফনকুল এর প্রায় ২০-২২টি বৈধ-অবৈধ ইটভাটা রয়েছে। এসব ইট ভাটার ভারী যানবাহন দেশের প্রায় বিভিন্ন স্থানে যাওয়া আসাটাই এসড়কের করুন দশার প্রধান কারন বলে তারা মনে করেন । এই সড়কটি আগে এইরকম ছিলনা পশাসন উপর মহলের কর্মকর্তা মেনেজ করে চালিয়ে যাচ্ছে ইট ও মাটির ব্যবসা । যার কারনে হাজারও পথচারির দূর্ভোগের মাত্রা চরম থেকে অতি চরমে পৌছেছে, প্রতিদিনই জীবনের মায়া ত্যাগ করেই যাতায়াত এখানতার বাসিন্দারা।
এ ছাড়াও মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদে এই একটি পথ ব্যবহার করেই হাজারো মানুষ সেবা নিতে যাচ্ছে পাশাপাশি বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও গার্মেন্টসকর্মীরাও এই পথে যাতায়াত করেন। এলাকাবাসীর ধারনা যদি কোন গর্ভবতি মহিলাকে এই রাস্তা দিয়ে নেয়া হয়, তাহলে তাকে ডাক্তারের কাছে যাবার আগেই মৃত্যুবরন করতে হবে। দীর্ঘ দেড় বছরের বেশি সময়ে অচল হওয়া এই সড়কটি অবিলম্বে সংস্কার করা দরকার।
এব্যাপারে নারায়নগঞ্জ ৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান সাহেব সুদৃষ্টি কামনা করছেন এলাকাবাসী।