নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : আবারো পিছিয়েছে আলোচিত শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে লাঞ্ছনার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় সাংসদ সেলিম ওসমানের বিরুদ্ধে চার্জশীট শুনানি। এ মামলায় নারায়ণগঞ্জ-৫ আসানের সাংসদ সেলিম ওসমান সহ দুই জনের বিরুদ্ধেআদালত শুনানীর দিন ধার্য করেছে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর বুধবার। সাংসদ সেলিম ওসমানের সময় আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত ওই আদেশ দেন। ২৮ জুন বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম জাহিদুল কবির এ আদেশ দিয়েছেন। এদিন মামলার আসামীদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের পূর্ব নির্ধারিত তারিখ ধার্য ছিল।
শুনানিকালে মামলার অপর আসামী অপু আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তবে সেলিম ওসমান আদালতে উপস্থিত না হলেও তার পক্ষে আইনজীবী হাজিরা দেন। এর আগে গত ২২ জানুয়ারি হাইকোর্ট বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলাটি নারায়ণগঞ্জ আদালত থেকে ঢাকার সিজেএম আদালতে বিচারের জন্য বদলির নির্দেশ দেন। এরপর আদালত দন্ডবিধির ৩২৩/৩৫৫/৫০০ ধারায় মামলাটি আমলে নিয়ে গ্রহণ করেন।
আদালতের দুই বিচারপতি আদেশে বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব হচ্ছে দেশের আইন নিরপেক্ষ ও বৈষম্য ছাড়া প্রয়োগ করা। কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারেন না। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নন, সবাই আইনের অধীন এটি আইনের শাসনের মর্মবাণী। বিচারিক তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আমরা ওই ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছি। বিচারের স্বার্থে এটি যথাযথ বলে প্রতীয়মান হয়। মোট ৬৫ পৃষ্ঠার মূল প্রতিবেদনের সঙ্গে সংযুক্তি হিসেবে আরও নথিপত্র রয়েছে। তদন্তের সময় মোট ২৭ জনের জবানবন্দি নেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তিকে ইসলাম ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে গত ২০১৬ সালের ১৩ মে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে লাঞ্ছিত করার ঘটনাটি প্রকাশ পেলে দেশজুড়ে তীব্র নিন্দা-প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। স্থানীয় এমপি সেলিম ওসমান সেদিন ওই শিক্ষককে কান ধরে উঠ-বস করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে তা দেখা যায়। সরকারের মন্ত্রীরাও সে সময় সেলিম ওসমানের ভূমিকার জন্য সমালোচনায় মুখর হন। তবে নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী ওসমান পরিবারের এ সাংসদ কোনো ভুল করেননি দাবি করে ক্ষমা চাইতে অস্বীকার করেন।