চৈতী কম্পোজিটের বিষাক্ত বর্জ্য পানি পরির্দশন করেন শাহিনুর ইসলাম

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সোনারগাঁ সংবাদ দাতা ) : সোনারগাঁ উপজেলার  টিপরদী এলাকায় অবস্থিত চৈতী কম্পোজিটের বিষাক্ত বর্জ্য ফেলার ঘটনার সত্যতা যাচাই করার লক্ষে প্রতক্ষ্য উপস্থিতিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনুর ইসলাম। শনিবার (৯ জুলাই) বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে বেলা ১২ টার দিকে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

সরেজমিনে চৈতী কম্পোজিটের বিষাক্ত পানি ফেলার তিনটি সুয়ারেজের খোঁজ খবর নেন। পরে চৈতী কম্পোজিটের চারপাশের খাল ও জলাশয়গুলো ঘুরে দেখেন এবং ঘটনার সত্যতা পেয়ে তিনি চৈতী কম্পোজিটকে বিষাক্ত পানি খালে না ফেলার জন্য আহবান করেন।

উল্লেখ্য যে, গত ৮জুন  শুক্রবার গোপন তিনটি সুয়ারেজের একটি সুয়ারেজ বন্ধ করে দেন সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকা। ঐদিন  বিকালে পৌরসভার গন্যমান্য ব্যক্তি সাংবাদিক ও পুলিশের উপস্থিতিতে তিনি এ সুয়ারেজ বন্ধ করে দেন।

এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে জানা যায়, সোনারগাঁ পৌরসভার টিপুরদী এলাকায় ২০০১ সালে চৈতি কম্পোজিট নামের একটি কোম্পানি গড়ে উঠে। কোম্পানি স্থাপনের পর থেকে কোম্পানির ক্যামিকেল মিশ্রিত বর্জ্য স্থানীয় খালে ফেলে পরিবেশ দূষণ করে। এ অভিযোগে কয়েক দফায় কোম্পানির গ্যাস, পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করাসহ অর্থিক জরিমানা করা হয়। সম্প্রতি চৈতি কোম্পানি কর্তৃপক্ষ তাদের কেমিক্যাল মিশ্রিত পানি কয়েকটি সুরঙ্গের মাধ্যমে খালে ফেলে ওই এলাকায় মোগরাপাড়া. পিরোজপুর, সনমান্দি ইউনিয়ন ও পৌরসভাসহ ৩০টি গ্রামের লোকজনের পানি ব্যবহার অনুপযোগী করে তোলে। কোম্পানির বর্জ্য পানিতে ফেলার কারনে স্থানীয় কয়েকজনের পুকুরের মাছ মরে যায়। এছাড়াও এলাকার মানুষ পানি ব্যবহার করতে পারছেন না। এতে এইসব এলাকার সাধারন মানুষের অনেকে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে এখন মৃত্যু মুখে।

এ নিয়ে প্রসাশনের কাছে এলাকাবাসী একাধিবার অভিযোগ দায়ের করলেও কোন ফল আসেনি। বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ চত্বরে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার কাছে এলাকাবাসী অভিযোগ নিয়ে আসলে তাৎক্ষনিক ওই এলাকা পরিদর্শ করে বর্জ্য নিস্কাশন বন্ধ করতে যান। এসময় এমপি ওই কোম্পানির বিষাক্ত বর্জ্য নিস্কাশনের প্রমাণ পান। এ সময় চৈতি কর্তৃপক্ষকে এ পানি না ফেলার নির্দেশ দেন এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা।

চৈতী কম্পোজিটের বিষাক্ত পানি থেকে রেহায় না পেয়ে স্থানীয়রা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে কয়েক দফা অভিযোগও করে। পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা চৈতী কম্পোজিট পরিদর্শনে এসে কয়েক দফা জরিমানাও করে। তার পর এলাকার কিছু দালালকে হাত করে চৈতী কম্পোজিট তার অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।

add-content

আরও খবর

পঠিত