নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ফতুল্লা প্রতিনিধি ) : কাশিপুর বাংলা বাজার এলাকার স্কুল ছাত্রী মোনালিসার(১২) ধর্ষণ ও হত্যা মামলার একমাত্র আসামী আবু সাঈদ দুবাইতে গ্রেফতার হয়েছে। তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আবেদন করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। আবু সাঈদ দুবাইতে গ্রেফতার হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) শাহ্ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের।
তিনি জানান, ঘটনার পর থেকেই মোনালিসা ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আসামী আবু সাঈদ দুবাই পালিয়ে গিয়েছে। লোমহর্ষক এ ঘটনাটি আমি ফতুল্লা থানায় যোগদানের আগেই ঘটে। এ নিয়ে আমরা সচেষ্ট। কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।
ওসি মঞ্জর কাদের বলেন, দুবাইতে গ্রেফতার আবু সাঈদকে ফিরিয়ে আনার জন্য আইনগত প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে ইন্টারপোলের সাথে আমরা যোগাযোগ করেছি। আশা করছি খুব দ্রুত তাঁকে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করতে পারবো।
সূত্র মতে, চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় সদর উপজেলার পশ্চিম দেওভোগ বাংলা বাজার বড় আমবাগান এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে মোনালিসা (১২) এর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে ওই এলাকার শাহিন বেপারীর মেয়ে এবং কাশিপুর উজির আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী।
ঘটনার দিন মোনালিসা ও তাঁর ছোট ভাই সাহেদকে একা বাড়িতে রেখে শাহিন বেপারী তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে নরসিংদী শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে যান। বিকালে তাঁরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানতে পারেন মোনালিসার মরদেহ উদ্ধারের কথা।
শাহিন বেপারী জানিয়েছিলেন, বিকালে তাঁর বাড়ির ভাড়াটিয়া তাঁকে ফোন করে জানান- অজ্ঞাত এক যুবক তাঁর ঘরে প্রবেশ করে কিছুক্ষণ পরে বের হয়ে যায়। পরে মোনালিসাকে ডাকতে ঘরে প্রবেশ করে দেখতে পান মোনালিসা ফ্যানের সঙ্গে ওড়না প্যাঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। পরে ওই ভাড়াটিয়া ও তাঁর ছোট ছেলে ওড়না কেটে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নিচে নামিয়ে মোনালিসাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
এদিকে ঘটনায় তদন্ত নেমে পুলিশ জানতে পারে মোনালিসাদের পাশের বাড়ির ইকবাল হোসেনের দুবাই প্রবাসী ছেলে আবু সাঈদ একা বাড়ি পেয়ে স্কুল ছাত্রী মোনালিসাকে ধর্ষণ শেষে তাঁকে হত্যা করে লাশ ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে দেয়। যাতে করে ব্যাপারটি আত্মহত্যা বলে সবাই ধরে নেয়।
এদিকে ঘটনার দিনই আবু সাঈদ দুবাই পালিয়ে যায় বলে সেসময় নিশ্চিত করেছিলো তাঁর পরিবার। সাঈদ ঘটনা তিন মাস আগে দেশে আসেন বিয়ে করার জন্য। বিয়েও করেন। তাঁর রির্টান টিকেট থাকায় পালিয়ে যেতে কোনো বেগ পেতে হয়নি।