নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( প্রেস বিজ্ঞপ্তি ) : নীট শিল্পের ৪২৯জন শ্রমিকের মৃত্যুজনিত বীমা দাবীর মোট ৮কোটি ৫৮ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়েছে। শনিবার ১২মে ১১টায় ঢাকায় বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট( কেআইবি) কনভেশন হলে উক্ত চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নীট গার্মেন্টস ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বিকেএমইএ এর পক্ষ থেকে প্রত্যেক শ্রমিকের জন্য ২ লাখ টাকা করে চেক মৃত শ্রমিকের পরিবারের মনোনীত সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এছাড়াও চেক হস্তান্তর কালে মৃত শ্রমিকদের পরিবার গুলোর মধ্যে যদি উপার্জনশীল কেউ থেকে থাকেন এবং তার যদি চাকরি প্রয়োজন হয়, তাহলে বিকেএমইএ এর কাছে সহযোগীতা চাইলে বিকেএমইএ সহযোগীতা প্রদান করবেন। সেই সাথে যদি কারো পরিবারের উপার্জন করার মত কেউ না থেকে সেক্ষেত্রে বিকেএমইএ এর কাছে আবেদন করলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান।
চেক বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের সচিব আফরোজা খান ও বিকেএমইএ এর প্রথম সহ সভাপতি মনসুর আহম্মেদ।
আরো উপস্থিত ছিলেন, বিকেএমইএ সহ সভাপতি এহসান ফজলে শামীম, সহ সভাপতি(অর্থ) হুমায়ন কবির খান শিল্পী, পরিচালক মোহাম্মদ আলামিন, মোস্তফা জামাল পাশা, শহীদ উদ্দিন আহাম্মেদ আজাদ, মোর্শেদ সারোয়ার সোহেল, শাহাদাৎ হোসেন সাজনু সহ অন্যান্য পরিচালকবৃন্দরা।
চেক বিতরনের পূর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মজিবুল হক চুন্নু বলেন, বর্তমানে রপ্তানিমুখী যত গার্মেন্টস রয়েছে সেগুলো থেকে এলসির মোট পরিমানের ০দশমিক০৩ শতাংশ টাকা সরকারের কাছে শ্রম ও কর্মসংস্থান দপ্তরে জমা হয়। সেই টাকার পরিমান বর্তমানে ৯৬ কোটি টাকায় দাড়িয়েছে। দিনে দিনে সেটি আরো বৃদ্ধি পাবে। ওই তহবিল থেকেই আজকে শ্রমিকদের মৃত্যুদাবী চেক প্রদান করা হচ্ছে। আমার জীবনে আমি মন্ত্রী হয়ে যে কাজ গুলো করতে পেরেছি এর মধ্যে শ্রমিকদের জন্য এই তহবিলটি গঠন করা আমার জীবনে সব থেকে ভাল কাজ করতে পেরেছি বলে আমি মনে করি।
উল্লেখ্, এর আগে ২০০০ সালে নরসিংদীতে আগুনে পুড়ে মোট ৩০ জন শ্রমিকের মৃত্যুতে বিকেএমইএ এর পক্ষ থেকে ৩৯ লাখ টাকা, ২০০৫ সালে ৭৪১জন শ্রমিকের মৃত্যুতে ৯ কোটি ৮১ লাখ ৫০ হাজার টাকার মৃত্যুদাবী চেক প্রদান করা হয়েছে।