নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সদর সংবাদদাতা ) : বন্দরের মাধবপাশায় ব্যবসায়ী পুত্র শাহিন(২০) কুপিয়ে জখম ও তার চাচাতো ভাই রাসেলকে(২০) হকিস্টিক দিয়ে পেটানোর ঘটনায় সন্ত্রাসী পরশসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা এন্ট্রি করা হয়েছে। শনিবার সকালে রাসেলের বাবা মো. মোজাম্মেল বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
আসামীরা হলেন, আলীনগর এলাকার মো. শহিদুল্লাহর ছেলে পরশ (২০), একই এলাকার মোস্তফা মিয়ার ছেলে রিয়াদ(২০), দবির মিয়ার ছেলে রাহাত(২১),কাশেম মিয়ার ছেলে কিবরিয়া(২৪), বদুরউদ্দিনের ছেলে হৃদয়(২২), মোস্তফা মিয়া ও তার স্ত্রী রিনা বেগম, দবির মিয়া (৫০) এবং স্বপন(৩০)।
জানা গেছে, ১ মে পবিত্র শবে-ই বরাতের রাতে পরশ ও তার অজ্ঞাতনামা বন্ধুদের নিয়ে মাধবপাশা এলাকার মনির হোসেনের ছেলে মোজাম্মেলের বসতবাড়ি অবৈধ পটকা /আতশবাজি ফাটায়, মোজাম্মেলের পরিবার এতে বাধা নিষেধ করলে পরশ তার বন্ধুদের নিয়ে নানা গালিগালাজ ও হুমকি দিয়ে চলে যায়। এরই প্রেক্ষিতে শুক্রবার রাতে পরশ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ তার সাঙ্গ-পাঙ্গদের নিয়ে মোজাম্মেলের বসত বাড়িতে ঢুকে মূল্যবান বআসবাবপত্র ভাংচুর করে থাকে, এতে বাধা দেয়া হলে পরশ তার হাতে থাকা চাপাতি দিয়ে মোজাম্মেলের ভাতিজা শাহিনকে ফিল্মি স্ট্যাইলে এলোপেথারী কুপাতে থাকে। এসময় শাহিনকে বাঁচাতে বাবা মহিউদ্দিন ও চাচাতো ভাই রাসেল এগিয়ে এলে পরশের সন্ত্রাসীবাহিনীর সদস্য রিয়াদ ও রাহাত লোহার রড ও হকিস্টিক দিয়ে তাদেরকেও পেটাতে থাকে। এতে মহিউদ্দিনের নাকে-মুখে এবং রাসেলের মুখমন্ডলসহ হাতে পায়ের বিভিন্নস্থানে রক্তাক্ত জখম হয়। আরেক আসামী হৃদয় তার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে বাদি মোজাম্মেলের ভাতিজা মজিবরের হাতে আঘাত করলে তার হাতের হাড় ভেঙ্গে যায়।
এসুযোগে মামলার অপর এক আসামী কিবরিয়া রাসেলের পকেটে থাকা নগদ ৫০ হাজার টাকা ও ১ টি স্যামসং মোবাইল ফোন হাতিয়ে নেয়। এসময় তাদের ডাক-চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে আসামি প্রাণনাশের হুমকিসহ ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় আহতদের নারায়নগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল ভর্তি করা হলে আহত শাহীনকে আশংকাজনকবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ট্রান্সফার করা হয়। এ ব্যপারে মোজাম্মেল থানায় অভিযোগ করলে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ একে এমম শাহীন মন্ডল তা মামলায় এন্ট্রি করেন।