নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ (বন্দর প্রতিনিধি): বন্দরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১০ই জানুয়ারি বুধবার বাদ আছর বন্দর ১নং খেয়াঘাট সংলগ্ন কল্পনা খান মার্কেটে এ আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
বন্দর থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খান মাসুদের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীয়া বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ন কবির মৃধা বলেন, তোমরা যারা রাজনীতিতে নতুন এসেছ বা আগামীতে নেতৃত্বদিবে তোমদেরকে মুক্তিযুদ্ধের ও বঙ্গবন্ধুর সঠিক ইতিহাস জানতে হবে, যেভাবে আমার নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশকে ভালোবেসে বাংলার মানুষের অধিকার আদায়ে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তাকে অনুসরন করেই তোমাদের রাজনীতির পথচলা শুরু করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমার নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের মানুষের কথা বলতে গিয়ে বারবার কারাগারে গিয়েছেন তিনি প্রমান করেছেন আমি বাংলাদেশের নেতা আমি পাকিস্তানের নেতা নই এদশকে একদিন স্বাধীনতা করতে হবে। জেল জুলুমের তোয়াক্কা না করে পাকিস্তানীদের শোষণ থেকে মুক্তি পেতে সেই নেতা একদিন বলেছিলেন এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম। প্রধান বক্তা নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক নূর হোসেন বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী পাকিস্তানী প্রেতাত্মা আল বদর আল শামসের দল ১৯৭৫ এর ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করেছিলেন। শত্রুদের উদ্দেশ্য ছিল তাকে হত্যা করে বাঙালির হৃদয় থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম চিরতরে মুছে ফেলা। কিন্তু আল বদর আল শামসের শত চেষ্টার পরও বাঙালির হৃদয় থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছতে পারেনি। তিনি আরও বলেন, বিএনপি জামায়াত আন্দোলনের নামে জ্বালাও পোড়াও ও আগুন দিয়ে পুড়ে মানুষ হত্যা করেছিলেন তাই আজ বাংলার জনগণ তাদের প্রত্যাক্ষান করেছেন। জনবিচ্ছিন্ন এই দলটি এখন পিছনের দরজায় ক্ষমতায় যেতে দেউলিয়া হয়ে পরেছে। তাই আমাদের সব সময় সজাগ থাকতে হবে এবং স্বাধীনতা বিরোধীদের সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
এছাড়া সভাপতির বক্তব্যে বন্দর থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খান মাসুদ বলেন, ১৬ই ডিসেম্বর আমাদের বিজয় দিবস হলেও সেদিন বাংলার মানুষ প্রকৃতভাবে দেশ স্বাধীনের বিজয়ের উল্লাস করতে পারেনি, কারন দেশ স্বাধীন হলেও সেদিনও মুক্তিযুদ্ধের মহা নায়ক স্বাধীন বাংলার স্থপতি আমাদের নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানীদের কাছে বন্দী ছিলেন। ১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারি পাকিস্তানের বন্দীদশা থেকে মুক্তিপেয়ে লন্ডন ও দিল্লী হয়ে বাংলার মাটিতে পা রাখার পরই স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগহণকারী মুক্তিযোদ্ধারা ও বাংলার জনগণ সেদিন বিজয়ের আসল স্বাদ গ্রহণ করেন এবং বিজয় উল্লাস করেছিলেন। তাই আজ ১০ই জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এই দিনটিকে একদিকে আনন্দ ও অন্যদিকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেছে পুরো জাতি। দোয়া ও আলোচনা সভায় উপস্থিত নেতাদের উদ্দেশ্যে খান মাসুদ আরও বলেন, কি পেলাম কি পেলাম না তা ভেবে মন খারাপ করিনা কোন কিছু চাওয়া পাওয়ার জন্য রাজনীতি করিনা। রক্তের সাথে মিশে আছে আওয়ামীলীগ তাই অভিমান করেও ঘরে বসে থাকতে পারিনা। দলের দুর্দিনেও রাজপথে ছিলাম এখনো রাজপথেই আছি। সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে তাই নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের কান্ডারি গণমানুষের নেতা ৪ আসনের সংসদস সদস্য একে এম শামীম ওসমান ভাইয়ের নেতৃত্বে ও বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম এ রশিদ এবং হুমায়ন মৃধা ও নূর হোসেন ভাইয়ের মতো বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকদের দিক নির্দেশনায় আমরা বন্দর থানা ছাত্রলীগ সর্বদা প্রস্তুত।
আলোচনা সভায় অন্যন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ২৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ শাহনেওয়াজ রাহাত, জাতীয় পার্টির নেতা শরিফ হাসান চিশতী, আওয়ামীলীগ নেতা হাজ¦ী মো: আমির হোসেন বুলু, বন্দর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল কবির, যুবলীগ নেতা মোঃ মাসুম, ফারুক প্রধান, শেখ মুমিন, মোঃ হোসেন, খোরশেদ আলম , সফি উদ্দিন, আয়নাল, সাজু সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তি বর্গ। আলোচনা শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করে দোয় করা হয়।