নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সোনারগাঁও প্রতিনিধি ) : সোনারগাঁওবাসীর সেবা করতে ও সচ্ছ ধারার রাজনৈতিক চর্চা বাড়াতেই নারায়ণগঞ্জ-৩ আসন থেকে নৌকার মনোনয়ন পেতে কাজ করে যাচ্ছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নির্বাহি পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা অর্থনীতিবিদ ও সোনারগাঁও উপজেলার ঐতিহ্যবাহী জামপুর ইউনিয়নের বশিরগাঁও গ্রামের কৃতি সন্তান আনোয়ারুল কবির ভূঁইয়া, গণমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, সেবার মানসিকতা নিয়েই নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন পেতে কাজ করে যাচ্ছি। সোনারগাঁয়ের সকল রাজনীতিবিদদের আপনারা চিনেন এবং জানেন। এমনকি তাদের কর্মকান্ড সমন্ধেও আপনারা ওয়াকেবহাল আছেন। আমি রাজনীতিতে নুতন মুখ নই। ১৯৮০-৮১ সালে সোনারগাঁ থানা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক এবং ১৯৮২ সালে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দীর্ঘ দিন সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের লেখাপড়া শেষ করে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রনালয়ের, বিভাগ ও সংস্থায় নিজ কর্মদক্ষতা প্রদর্শণ করে দেশ ও জাতির সেবায় নিয়োজিত থেকেছি।
তাই উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড বাস্তবায়নের বিভিন্ন দিকগুলো আমার জানা আছে, যা আমি সবাইকে পাশে পেলে সহজেই এগিয়ে নিতে পারব। পেশাগত কারণে রাজনীতিতে সময় দিতে না পারলেও এলাকার উন্নয়নে কাজ করার চেষ্টা করেছি, বাংলাদেশ আ’লীগের জন্য কল্যাণকর হয় এমন কাজ সর্বদা করেছি। কারণ আমি জানতাম রাজনীতি বা অন্য যে কোনভাবে দেশের ও দশের সেবা করতে গেলে আগে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে, একটি গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে নিজেকে দাড়াতে হবে। আমার যাতে জনগণের কাছ থেকে নেয়ার চাহিদা না থাকে। আমার যাতে দেবার মানসিকতা গঠিত হয়।
বর্তমানে সোনারগাঁও থেকে কিছু নেয়ার জন্য নয়, বরং মানুষের সেবার মানসিকতা নিয়েই আমার পদচারণা। আমাকে মনোনয়ন দেয়া হলে এবং আমি নির্বাচিত হলে জনগনের সুবিধার দিকগুলো এবং সেবার বিষয়গুলো অগ্রাধীকার দেয়া হবে। মাদক নির্মূল, সন্ত্রাস দূরীকরণ ও একটি আধুনিক উপজেলা হিসেবে অত্র সোনারগাঁও উপজলোকে গড়ে তুলতে নিরলস কাজ করে যাব। সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে দায়িত্ব পালন করে আমি আল্লাহর রহমতে অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি, আর সেই অভিজ্ঞতা আমি জনগণের কল্যাণে কাজে লাগাতে চাই। অত্র আসনের উন্œয়নমূলক কার্যক্রমকে এগিয়ে নেবার বিভিন্ন ভাবনা আমার মধ্যে রয়েছে, যদি জনগণ আমার পাশে থাকে তাহলে আমার দ্বারা উন্নয়নমূলক কার্যক্রম সংঘটিত হবে বলে আমি কথা দিচ্ছি।
জনগণের সহযোগীতা পেলে যে কোন বাধা পাড় হওয়া সম্ভব এবং প্রতিপক্ষ যত শক্তিশালীই হোক না কেন জয় ছিনিয়ে আনা সম্ভব বলে আমি মনে করি, কারণ আমি কোন অপরাধে জড়িত নই। ব্যক্তিগত ইমেজ নিয়ে ও সকল অন্যায় থেকে দূরে থেকে সকলের ভালবাসা নিয়ে বেঁচে আছি, আর এ জন্যই সোনারগাঁওবাসী আমাকে তাদের কল্যাণে কাজ করার জন্য আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সমর্থন যুগিয়ে যাচ্ছেন। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতিতে বিশ্বাসী এবং পারিবারিকভাবে দীর্ঘদিন যাবৎ আমরা আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত আছি, আগামী সংসদ নির্বাচনে যদি তৃণমূলের জনসমর্থন নিয়ে এবং ভালবেসে জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে দলীয় মনোনয়ন দেন, তাহলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হতাশ হবে না বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
বিশেষ করে বলব, নৌকা প্রতীক নিয়ে আমি নির্বাচিত হলে সোনারগাঁয়ের সার্বিক কল্যাণে আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার সার্বিক পরামর্শে ও নির্দেশনায় কাজ করার আশা ব্যক্ত করছি। ইদানিংকালে আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বীত হয়ে একটি মহল অযথা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে কুৎসা রটাচ্ছেন এবং মনগড়া, তথ্য প্রমাণহীন ও ভ্রান্ত খবর প্রকাশ করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। আমি কাঁদা ছোড়াছোড়ি পছন্দ করিনা, কারণ এগুলো করা আমাকে মানায় না। যারা বর্তমানে সোনারগাঁয়ে আ’লীগের বা সহযোগি সংগঠনের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন, তাদেরকে অনুরোধ জানাব একে অন্যের বিরুদ্ধে বিষেদগার হওয়া ও একে অন্যের প্রতি তীর্যক মন্তব্য করা থেকে সকলে বিরত থাকুন। কারণ এতে করে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়। নিজেরা একে অপরের সমালোচনায় মত্ত থাকলে প্রতিপক্ষ দল সুযোগ পেয়ে যাবে, এতে কার ক্ষতি হবে বিষয়টি নিয়ে একটু ভেবে সে অনুযায়ি নিজ নিজ প্রচারণা ও দলীয় কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য সবাইকে আহবান জানাচ্ছি।