নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের গাফিলতির কারণে চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি চার শিক্ষার্থী। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা। পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না পারায় হতাশায় তাদের মনোবল ভেঙ্গে পড়েছে। ফলে তাদের শিক্ষা জীবনে অন্ধকার নেমে আসতে পারে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা। পরীক্ষা দেওয়া নিশ্চিত জেনেও আগের দিন এসে প্রবেশপত্র হাতে পায়নি তারা। এ ব্যাপারে সঠিক কারণও জানাতে পারছেনা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। উপজেলার কাঞ্চন পৌর এলাকার হাজী রফিজউদ্দিন ভূইয়া উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থীদের পরিবারের লোকজন অনশনে যাওয়ার আল্টিমেটাম দিয়েছে বলে জানা গেছে।
পরীক্ষা বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর হাজী রফিজউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের কেয়া আক্তার, মানবিক বিভাগের লিপি আক্তার, সুমা আক্তার এবং সুমি আক্তার এসএসসি পরিক্ষার্থী ছিলেন। তারা নিয়ম মেনে বিদ্যালয়ের নিয়মিত ক্লাশ, প্রাক নির্বাচনী ও নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ এবং কোচিং করেন। যথারীতি নিবন্ধন ফি এং ফরম পূরণের টাকাও নেয়া হয় তাদের কাছ থেকে। কিন্তু পরীক্ষার আগের দিন গত রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদেরকে এসএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র দেওয়া হয়নি। এতে ক্ষুব্ধ অভিবাবকরা কারণ জানতে বিদ্যালয়ে গেলে প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক বদিউল আলম কোন সদোত্তর দিতে পারেনি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক বদিউল আলম বলেন, আমি তাদের ফরম পূরনের চেষ্টা করে বিফল হলে বোর্ডে যোগাযোগ করি। বোর্ড জানায়, গত জেএসসি পরীক্ষায় এক বিষয়ে ফেল করে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে পরবর্তীতে নির্ধারিত বিষয়ে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ায় প্রজ্ঞাপন অনুসারে তাদের ফরম পূরণ হয়নি। কেন গোপন করে তাদেরকে বিভিন্ন পরীক্ষায় অংশগ্রহণসহ নিবন্ধন ও ফরমপূরণ করানোর টাকা নেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি উত্তর দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দিক-নুর-আলম বলেন, প্রজ্ঞাপন অনুসারে জেএসসিতে উত্তীর্ন না হয়েই উক্ত ৪ শিক্ষার্থী নবম শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছিল। এটা সম্পূর্ণ প্রধান শিক্ষকের গাফিলতি। এছাড়া পরবর্তীতে তথ্য গোপন করে উক্ত শিক্ষার্থীদের কোচিং, নিবন্ধন, প্রাক নির্বাচনী ও নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দিয়ে অন্যায় করেছেন। এ ব্যাপারে পরীক্ষার পরে সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।