নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : পেঁয়াজ রফতানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা এমন গুঞ্জন ছড়িয়ে যাওয়ার পর থেকে এক রাতেই পণ্যটির দাম দ্বিগুণ হয়ে গেছে। শনিবার (৯ ডিসেম্বর) নগরীর পাইকারী ও খুচরা পণ্যের বৃহত্তর দিগুবাবুর বাজার ও বিভিন্ন এলাকার দোকনীগুলোতে ঘুরে জানা যায়, প্রতি কেজি পেঁয়াজ আগের তুলনায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি করছে অতি মুনাফালোভী বিক্রেতারা । এতে করে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। তবে দামের কারণে ক্রেতারা পেঁয়াজ কেনা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলে ব্যবাসায়ীদের মাথায় হাত উঠবে বলেও জানিয়েছেন অনেকে।
সকাল থেকে শহরের গুরুত্ব পূর্ন কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, শুক্রবার রাত থেকেই পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী। বাজারে দেশি পেঁয়াজের মজুদ কমতি থাকায় ভারতীয় ও চীনা পেঁয়াজের প্রতি আগ্রহ ক্রেতাদের। যে কয়েকটি দোকানে দেশি পেঁয়াজ পাওয়া গেছে তাও বেশি দামেই বিক্রি হচ্ছে। আর ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ হয়ে গেছে।
মাহফুজ নামে পিয়াজ ব্যবসায়ী জানান, প্রতি কেজি ইন্ডিয়ান পেয়াজে দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ৭০ টাকা আর দেশী পেয়াজে ৬০ টাকা পর্যন্ত। তিনি আরো বলেন, শুক্রবার ইন্ডিয়ান পেয়াজে কিনছি ১০২ টাকা কেজি। আর বিক্রি করছি ১১০ টাকা। পাশাপাশি দেশী পেয়াজ ১৫০ টাকা কেনা, বিক্রি ১৬০টাকা। তবে আজকে থাইকা বিক্রি করতাছি ইন্ডিয়ান পেয়াজ ১৭০ টাকা কেনা বিক্রি ১৮০ টাকা থেকে ২০০টাকা পর্যন্ত।দেশী টা হলো ২২০ কেনা বিক্রি ২৪০ টাকা।
এদিকে, ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলা অবস্থায় ৬ জন ক্রেতা পেয়াজ কিনতে এসে ৫ জনই চলে গেছেন। এরমধ্যে একজন ক্রেতা ১ কেজি ইন্ডিয়ান পেয়াজ ক্রয় করলেন। যদিও কেনার আগে ব্যবসায়ীকে অনুরোধ করেন কিছু দাম কমানোর জন্য কিন্তু তাতে মাহফুজ রাজী হলেন না।
সাহেলা নামে একজন ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, এতো দাম বাড়লে কিনবো কিভাবে? তাছাড়া ইন্ডয়ান পেঁয়াজের স্বাদ ও ভালো না। একই অবস্থা পরিলক্ষিত হয় বাজার ও এলাকার দোকান গুলোতে। কোন কোন দোকান গুলোতে পেয়াজ বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন দাম বাড়ার কারনে ।
দিগুবাবুর বাজারের ঘি পট্টির দুলাল ষ্টোরে গিয়ে জানা যায়, শুক্রবার ১২ টার আগে দেশী পেয়াজের দাম ছিলো ১২০ টাকা আর বিক্রি ১৩০ টাকা, ইন্ডিয়ানটা ১১০ টাকা। বিক্রি করা হয় ১১৫টাকা। তবে ১২ টার পরে দামের পরিবর্তন হয়। তখন ১ কেজি দেশী পেয়াজ ১৬০টাকা কেনা, বিক্রি ১৭০ টাকা। ইন্ডিয়ান পেয়াজ প্রতি কেজি ১২৫ টাকা কেনা, বিক্রি ১৩৫ টাকা।
তবে তিনি আরো বলেন, ইন্ডিয়ান পেয়াজ গতকালের টাই ছিলো তাই আজকে। তারপরেও বাজার অনুযায়ী তিনি বেশী দামে বিক্রি করবে। আর দেশী পেয়াজে বাড়তি দাম তো রয়েছেই ।
এলাকার মুদি দোকান থেকে জানা যায়, দেশী পেয়াজ প্রতি কেজি ২২০-২৫০ টাকা করে বিক্রি করছে তবে ইন্ডিয়ান পেয়াজ চাহিদা না থাকায় বিক্রি করছে না। এমন কি কোন কোন দোকানে পেয়াজ নাই বলে জানান। তাছাড়া হঠাৎ করে দাম বেড়ে যাওয়ায় বিক্রি ও কমে গেছে । যার ফলে পেয়াজ নষ্ট হবার উপক্রম হতে পারে বলে ধারণা করছেন কেউ কেউ।