নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( নিজস্ব প্রতিবেদক ) : এবার এলপি গ্যাসের দাম কমালেও বন্ধ হয়নি বিক্রেতাদের হেরফের। বিভিন্নস্থানে নানা কৌশলে ক্রেতাদের কাছ থেকে ইচ্ছেমত হারে সিলিন্ডারে ভর্তি গ্যাসের দাম নেয়া হচ্ছে।
অথচ দেশে ভোক্তা পর্যায়ে তরল প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলপিজি) দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। চলতি মাসের ২রা মার্চ বিইআরসি সচিব ব্যারিস্টার মো. খলিলুর রহমান খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানোনো হয়েছে। তবে নগরীর বিক্রেতাদের কাছে নানা অজুহাতের দোহায়ে জিম্মিদশায় ক্রেতারা।
জানা গেছে, প্রতি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৭৬ টাকা কমিয়ে এক হাজার ৪২২ টাকা নির্ধারণ করেছে বিইআরসি। যা গত এক মাস আগে এক হাজার ৪৯৮ টাকা ছিল। সেসময়ও ক্রেতাদের কাছে ১৮০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা করে ১২ কেজি সিলিন্ডার বিক্রি করা হয়েছে। তবে এই মাসে সিলিন্ডারের দাম কমিয়ে আনা হলেও বিক্রি হচ্ছে সেই আগের দামেই। স্থান ভেদে কিছু এলাকায় দাম কম রাখলেও অধিকাংশ স্থানে দোকানীরা বেশী মূল্যে সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রি করছে।
এ বিষয়ে কথা হলে দোকানীরা জানায়, দাম কমলেও আমরা পাইকারী কম আনতে পারিনা। আবার কমে দিলেও ৩০-৫০ টাকা কম পাই। যা গাড়ি ভাড়া ও বিভিন্ন খরচে লাভ থাকে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাশিপুর এলাকার একজন বিক্রেতা জানান, আমরা অনেক সময় বাসা বাড়িতে এই সিলিন্ডার পৌছে দিয়ে আসি। লাগিয়ে দেই। এজন্য বাড়তি টাকা নেই। কমানোর কোন সুযোগ নাই।
এদিকে বাবুরাইল এলাকার সোয়েব নামে এক ক্রেতা জানায়, আবাসিক গ্যাস লাইন দুর্বল হয়ে পড়ায় পুর্বে থেকে এভাবেই বাসা-বাড়িতে সিলিন্ডার গ্যাস কিনে আসছি। আর বর্তমানে এ ব্যবসায় প্রতিযোগী বেড়ে যাওয়ায় সকলে এভাবেই দিয়ে আসছে। যখন যার সেবা ভালো পাচ্ছে তারটাই নিচ্ছে গ্রাহক। তাছাড়া প্রথমে যখন সিলিন্ডার কিনে আনা হয় তখন পুরো সিলিন্ডার সহ ৪ থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা গুনে নেয় বিক্রেতারা। এরপর থেকে শুধু গ্যাসের হিসেবেই নির্ধারিত মূল্য নেয়ার কথা।
এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিচালক সেলিমুজ্জামান জানায়, আমরা ভোক্তাদের কাছে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিবো। তাছাড়া আমাদের মনিটরিং টিম কাজ করছে। যেকোন সময় ভোক্তাধিকার হরণ করা এমন কাউকে পেলে আইন অনুযায় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তাছাড়া আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।