নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দেওয়ানবাগ থেকে বাংলাদেশ টিম্বার মিল ও কমিউনিটি ক্লিনিক হয়ে মুরাদপুর গ্রামের ১টি রাস্তা ও বারাকাহ হাসপাতালের পশ্চিম পাশ ঘেষে মুরাদপুর ব্রীজ পর্যন্ত, অপর ১টি রাস্তা নির্মাণের ১ বছরের মাথায় কয়েক জায়গা দিয়ে ভেঙ্গে ও ডেবে যাওয়ায় জনগণের চলাচলে মারাত্মক সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে। এবং এ ভঙ্গুর অবস্থার কারণে বড় যানবাহন তো দূরের কথা সামান্য একটি রিক্সা পর্যন্ত অত্র অঞ্চলে ঢুকতে পারছেনা। এতে জনগণের চলাচলে বিরূপ প্রভাব পড়েছে এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামাল পরিবহন ও রোগী সহ বৃদ্ধরা চলাচলে মারাত্মক বিপাকে পড়েছেন বলে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
রাস্তা ২টি নাসিক ২৭নং ওয়ার্ডের আওতাধীন, যা সিটি কর্পোরেশনের বাজেট থেকে নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। দেওয়ানবাগ থেকে বাংলাদেশ টিম্বার মিল হয়ে নির্মাণ করা রাস্তার মুরাদপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের পাশে রাস্তা ভেঙ্গে গর্ত সৃষ্টি হয়ে পানি জমে রাস্তা আরও ভেঙ্গে যাচ্ছে এবং বারাকাহ হাসপাতালের পশ্চিম পাশ ঘেষে মুরাদপুর ব্রীজ পর্যন্ত রাস্তার ছগির ও মনির হোসেনের বাড়ি সংলগ্ন পয়েন্টে রিটার্নিং ওয়াল ভেঙ্গে রাস্তা কয়েক ফুট ডেবে ও ভেঙ্গে গেছে।
স্থানীয়রা সাংবাদিকদের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, রাস্তা নির্মাণে আমরা দ্রুত আমাদের বাড়ি ভেঙ্গে ও সড়িয়ে দিয়েছি। কয়েক লক্ষ টাকার জায়গা আমরা বিনা স্বার্থে ছেড়ে দিয়েছি যাতে রাস্তা নির্মাণ হয়। কারণ রাস্তা হলে চলাচলের ব্যবস্থা সুগম হবে। কিন্তু ১ বছরের পূর্বেই এভাবে রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ায় আমাদের চলাচল ব্যহত হচ্ছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান যদি ঠিকভাবে রাস্তার নির্মাণ করত তাহলে এ অবস্থা হতনা। তাদের খামখেয়ালীর কারণে নি¤œ মানসম্পন্ন রাস্তা নির্মাণ হয়েছে যাতে আমাদের সম্পত্তির ও সরকারের অর্থের অপচয় হয়েছে বলে আমরা মনে করি। আমরা এ রাস্তাগুলো ভালভাবে মেরামতের জন্য মাননীয় মেয়র মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ বিষয়ে অত্র ২৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুজ্জামান বাবুলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, রাস্তা ভেঙ্গে যাবার বিষয়টি স্থানীয়রা আমাকে জানিয়েছেন এবং সরেজমিনে বিষয়টি দেখেছি। এ বিষয়ে আমি সিটি কর্পোরেশনের ইঞ্জিনিয়ারদেরকে গুরুত্বসহকারে অবহিত করেছি এবং তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তাগুলো মেরামত করে দেবার ব্যবস্থা করবেন বলে জানিয়েছেন।