হাটখোলার সড়কে ঢেউ !

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বিশেষ প্রতিবেদক ) : শীত কিংবা বর্ষায় পানি মাড়িয়েই চলাচল করতে হয় এখানকার বাসিন্দাদের। কোথাও কোথাও পিচ-খোয়া উঠে গেছে। কোথাও আবার সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত। তাছাড়া সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে নাকাল অবস্থায় পরিণত হয় এ সড়কটিতে। পাশ দিয়ে ভারি কোন যানবাহন গেলেই পানিতে ঢেউ উঠে ভিজিয়ে দেয় পথচারীদের। এটি সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়েনর ৪নং ওয়ার্ড হাটখোলা গুদামবাড়ী থেকে পার হাউজ পর্যন্ত সড়কটির দীর্ঘ দিনের চিত্র।

বছর পেরিয়ে মাস। মাস পেরিয়ে দিন গেলেও স্থায়ী সমাধানে এগিয়ে আসেনা কেউ। অথচ স্থানীয়দের সুবিধার্থে সড়কটিকে পাকা করা হলেও তা এখন পানিতে তলিয়ে থেকে নষ্ট হয়ে থাকে। এ সড়কের বেহাল অবস্থায় মানুষের চলাচলে এখন ভোগান্তির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। আর সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে থাকলে তা

দূরিকরণে স্থানীয়রা ব্যস্ত হয়ে পড়লেও স্থায়ী সমাধানে জনপ্রতিনিধিদের কোন উদ্যোগ দেখা যায় না। এতে করে স্থানীয় বাসিন্দা, দোকানদার, পথচারীসহ চলাচলরত যাত্রীদেরকেও চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পার হাউজের শেষ প্রান্ত থেকে গুদামবাড়ী রোড ফরাজীকান্দা মোড় পর্যন্ত পুরো রাস্তাটির সংস্কারের অভাবে দিনের পর দিন সাধারণ মানুষের ভোগান্তি লেগেই আছে। যারাই এই পথে চলাচল করছে তারা সকলেই ক্ষোভ প্রকাশ করছে। প্রতিদিনই চাষাড়া থেকে হাটখোলা মোড় হয়ে মুন্সীগঞ্জ পর্যন্ত অসংখ্য গাড়ি চলাচলের ক্ষেত্রেও ব্যবহার হয়ে থাকে এ সড়কটি। কিন্তু রাস্তাটির বর্তমান পরিস্থিতি খুব অবনতি হওয়ায় এ পথে চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ছে।

স্থানীয় অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, ২ বছর আগে রাস্তাটি ড্রেনে ময়লা আটকে থাকার কারণে চলাচলের সমস্যা হলে এলাকাবাসীরা মিলে নিজস্ব অর্থায়নে কাজটি শেষ করেছিলাম। এভাবেই করলেও আবারো একই অবস্থায় ফিরে আসে। তাই জনপ্রতিনিধিরা রাস্তা ও ড্রেনের পরিকল্পিতভাবে কাজ না ধরলে এ সমস্যা থেকেই যাবে। তাদের অবহেলার কারণেই এখানে পানি জমে তলিযে থাকে। রাস্তাটি আবার দূর্গন্ধ পানি দিয়ে ভরে গেছে, নামাজ পড়তে গেলে জামা কাপড় নষ্ট হয়ে যায়।

পথচারীর মঈনুল ইসলাম জিতু জানান, অল্প বৃষ্টি হলেও রাস্তায় পানি জমে থাকে। আর দিন দিন সড়কে খানা খন্দে আরো ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। অন্যদিকে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে সকলে।

স্কুল ছাত্রী তামান্না জানান, ময়লা দূগন্ধ পানি উপর দিয়ে হেঁটে বাসা থেকে স্কুল আবার স্কুল থেকে বাসায় আসতে হয়।

একই কথা ব্যাটারী চালিত রিক্সা চালকের, তিনি বললেন- আমার গাড়ি যখন হেলেদুলে চলে। তখন অনেকেই মজা করে বলেন, তারা নাকি সমুদ্রের ঢেউ এর উপরে চলছে। তবে তাদের তো সমস্যা হয়ই। আমার গাড়িরও বারোটা বাইজা যায়। তাই ঠেইক্কা এখান দিয়া আসি। এখান দিয়ে গাড়ি নিয়ে চলাচল করাটা খুবই সমস্যা। গাড়ি চালানোর সময় ভয়ে থাকি। মনে হয় এই বুঝি গাড়ি উল্টে পড়ে গেল।

৪নং ওয়ার্ড মেম্বার পলাশ জানান, সড়কটির মাঝে ড্রেন বানানোর কারণে এ সমস্যাটা বেশী। পানি জমে থেকে দু পাশে চলে যায়। তারপর ড্রেন ময়লা দিয়ে ভরে থাকায় পানি ধীর গতি যায়। যে কারণে সড়কে ময়লা পানি জমে থাকে। আর তাছাড়া রাস্তাটি সরু এবং অনেক গুরুত্বপূর্ন হওয়ার কারনে আমরাও চাই এটার একটা সংস্কার করতে। তবে আশা করছি কিছুদিনের মধ্যেই স্থায়ী সমাধানের জন্য কাজ শুরু হবে।

add-content

আরও খবর

পঠিত