নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : সোনারগাঁ মুক্ত দিবস আজ। ৪৭ বছর আগে পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামে সোনারগাঁয়ের তিনশতাধিক মুক্তিযোদ্ধা পাক হানাদরদের কাছ থেকে মুক্ত করেছিল সোনারগাঁকে। এইদিন শ্রদ্ধাভরে সোনারগাঁবাসী স্মরণ করে তৎকালীন সময়ের মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক মরহুম এ্যাডভোকেট সাজেদ আলী মিয়া ও সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম মোবারক হোসেনকে।
রাজধানী থেকে কুমিল্লার ময়নামতি ক্যান্টনমেন্ট ও চট্টগ্রাম বন্দরগামী ঢাকা চট্টগ্রাম হাইওয়েটি মুক্ত করার জন্য ১৯৭১ এর নভেম্বর মাসে লাঙ্গলবন্ধ সেতুর উপর অবস্থানরত পাক হানাদরদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সোনারগাঁওয়ের অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধারা। পরবর্তী পর্যায়ে শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা অবস্থান নেয় পানামগামী রাস্তার দু’পাশে। সারাদিন ব্যাপী ওই যুদ্ধে শহীদ হয় মজনু মিয়া।
তার সম্মানে সোনারগাঁওয়ে একটি সড়কের নামকরণ করা হয়েছে (শহীদ মজনু সড়ক)। ১৩ই ডিসেম্বর রাতেই মিত্রবাহিনী অবস্থান নেয় সোনারগাঁওয়ে। মিত্র ও মুক্তিবাহিনীর সাঁড়াশি আক্রমণে টিকতে না পেরে পাক হানাদাররা তাদের মৃত দোসরদের রেখে পালিয়ে যায়। মুক্তিযোদ্ধারা ১৩ ডিসেম্বরকে সোনারগাঁ মুক্ত দিবস ঘোষনা করেন। যাবার পূর্বে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় পিরোজপুর গ্রাম।
নৃশংসভাবে হত্যা করে ওই গ্রামের নূরু মিয়া, আ. রহমান, ফজলুল হক, আবু মিয়া ও আয়েত আলীকে। সেদিনকার মুক্ত দিবসে অংশগ্রহণ করেছিল মরহুম মোবারক হোসেন, কামন্ডার নূরু মিয়া বাচ্চু, ফুলু মিয়া, রুহুল আমীন বাদশাহ, জিয়াউল ফারুক, শফিউর রহমান, শফিকুল ইসলাম, ওসমানগনি, মনিরুজ্জামান, আনোয়ার হোসেন, গোফরান, আ. হাই, মো. হোসেন, আজিজুর রাহমান, বাবুল হোসেন, মোহাম্মদ আলীসহ আরো অনেকে।