নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সোনারগাঁ প্রতিনিধি ) : হেফাজত নেতা মামুনুল হককে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে নারীসহ অবরুদ্ধ করা এবং তার পরের সহিংস ঘটনা ঠেকাতে না পারার কারণে প্রথমে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়। সেই একই ঘটনায় এবার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) টিএম মোশাররফ হোসেনকে বদলি করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ জায়েদুল আলম এই বদলির আদেশ দিয়েছেন। ৬ই এপ্রিল মঙ্গলবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম বলেন, হেফাজতের মামুনুল হক ইস্যুতে উদ্ভুদ পরিস্থিতিতে ৪ঠা এপ্রিল রবিবার রাতে সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। একই ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) টিএম মোশাররফ হোসেনকে খুলনা রেঞ্জে বদলি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ৩ই এপ্রিল সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টের একটি রুমে নারীসহ হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হককে নারীসহ অবরুদ্ধ করে স্থানীয় লোকজন। পরে পুলিশ গিয়ে মামুনুল হককে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় খবর পেয়ে হেফাজতের নেতা-কর্মী ও বিভিন্ন মাদ্রাসার ছাত্ররা ওই রিসোর্টে হামলা ও ভাংচুর চালিয়ে তাকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়।
এরপর হেফাজতের নেতাকর্মীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ভাংচুর অগ্নিসংযোগ চালিয়ে ব্যাপক তাণ্ডব সৃষ্টি করে। মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর করে শতাধিক যানবাহন। একই সাথে স্থানীয় আওয়ামী লীগ কার্যালয়েও হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে তারা। এক পর্যায়ে পুলিশ গিয়ে তাদেরকে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে হেফাজতের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া সংঘর্ষ বাঁধে। পুলিশ ৪ শতাধিক শর্টগান ও টিয়ারশেল ছুঁড়ে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এই ঘটনায় হেফাজতকর্মী মোহাম্মদ ফয়সাল হাবীব বাদী হয়ে মামুনুল হককে হেনস্থা করার অভিযোগে যুবলীগ-ছাত্রলীগের দুই নেতাসহ স্থানীয়দের বিরুদ্ধে সোনারগাঁও থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।