নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সোনারগাঁ প্রতিনিধি ) : সোনারগাঁয়ের বৈদ্যেরবাজার এলাকায় মেঘনা নদীর পশ্চিম তীর দখল করে গড়ে তোলা আল মোস্তফা গ্রুপের ৪ তলা বহুতল ভবন ও অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর কর্তৃপক্ষ। এছাড়া নদী দখল করে ডকইয়ার্ড সম্প্রসারণ করায় ইউরো মেরিন শিপ বিল্ডার্স নামের জাহাজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেন সংস্থাটির ভ্রাম্যমান আদালত।
মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক গুলজার আলী ও উপ- পরিচালক মো. শহীদুল্লাহর সার্বিক তত্বাবধায়নে উচ্ছেদ অভিযানটি পরিচালিত হয়। উচ্ছেদ অভিযানে দুটি ভেকু, দুটি উদ্ধারকারী জাহাজ, একটি টাগবোট, বিপুল সংখ্যক উচ্ছেদ কর্মী, পুলিশ ও আনসার সদস্য, বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক গুলজার আলী বলেন, মেঘনা নদীর দুই তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ৬ দিনব্যাপী অভিযান পরিচালিত হবে। মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের অভিযানে আল মোস্তফা গ্রুপের ৪ তলা বহুতল ভবন গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া নদী দখল করে ডকইয়ার্ড সম্প্রসারণ করায় ইউরো মেরিন শিপ বিল্ডার্স নামের জাহাজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে সোমবার মেঘনা নদীর তীরবর্তী মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থানার চরবেতাকি এলাকায় খান ব্রাদার্সের জাহাজ নির্মান প্রতিষ্ঠানের ৬শ ফুট প্রশস্ত সীমনা প্রাচীর সহ দুইটি বালু ভরাট কাজের ড্রেজার ভাংচুর করা হয়। একই সাথে সোনারগাঁয়ের হোসেনদি বলাকিরচর এলাকায় নদী ভরাট করে বালু রাখা অংশ ভেকু দিয়ে খনন করে নদী দখল মুক্ত করা হয়। এছাড়া মেঘনা লঞ্চঘাট এলাকায় নদীর তীরে ৩শ ফুট লম্বা ও ২শ ফুট প্রশস্ত জায়গা দখল করে অবৈধ ভাবে বালু, পাথর ও টিনসহ বিভিন্ন নির্মান সামগ্রী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের এসব মালামাল জব্দ করা হয়। বিআআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ এসব জব্দকৃত মালামাল নিলামে তুলে ৫ লক্ষ ৫২ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়।
গুলজার আলী আরো বলেন, নদীর তীর দখল করে আরো যারা অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা করছে পরবর্তী অভিযানগুলোতে পর্যায়ক্রমে সেগুলো উচ্ছেদ করনা হবে। তিনি জানান, গত শুক্রবার নদী কমিশনের চেয়ারম্যার বিআইডব্লিউটিএ এর নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের কর্মকর্তাদের নিয়ে সরেজমিন মেঘনা নদী পরিদর্শন করেছেন। এসময় মেঘনা গ্রুপ বসুন্ধরা গ্রুপ, আমান ইকোনোমিক জোন, ইউনিক গ্রুপ, আল মোস্তফা গ্রুপের পলিমার ইন্ড্রাষ্ট্রিজসহ বেশ কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠানে নদী দখলের প্রমান পেয়েছেন। সেগুলো পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ করা হবে।