নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সোনারগাঁও প্রতিনিধি ) : সোনারগাঁয় আকলিমা আক্তার (১৮) নামে এক গৃহবধু স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে কীটনাশক ট্যাবলেট খেয়ে আতত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছে স্বজনরা। অভিযুক্ত স্বামীর নাম সবুজ মিয়া (২৭)। ঘটনাটি ঘটে উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নে গজারিয়াপাড়া গ্রামে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো. করিম মিয়া বাদি হয়ে ১৪ই ফেব্রুয়ারি রবিবার দুপরে সোনারগাঁও থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন।
১৩ই ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিকালে কীটনাশক ট্যাবলেট খায় আকলিমা আক্তার। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে তাকে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে নিহত বলে ঘোষণা করেন।
নিহত আকলিমার বড় বোন তাসলিমা আক্তার জানায়, আকলিমার স্বামী সবুজ মিয়া দীর্ঘদিন যাবত এলাকায় মাদক ব্যবসা করছে। সে নিজেও মাদক সেবন করতো এবং মাদকাসক্তদের নিয়ে বাড়ীতে আড্ডা দিতো। তার এসব কার্যকলাপে আকলিমা তাকে বাঁধা দিতে গেলে তার উপর চালাতো নির্মম অত্যাচার। সবুজের এই নির্মম অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে তার বোন সাড়ে ৪ বছরের একটি পুত্র সন্তান রেখে কীটনাশক ট্যাবলেট খেতে বাধ্য হয়।
কীটনাশক ট্যাবলেট খাওয়ার পর তাকে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতাল মদনপুরে অবস্থিত আল-বারাকায় নিয়ে গেলে রোগীর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। সেখানে নেওয়ার পর জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা দেন।
পরে শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) (নিঃ) মিন্টু মিয়া লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুতের জন্য ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করে পুলিশ। স্বজনরা গজারিয়াপাড়ায় সামাজিক কবরস্থানে লাশ দাফন করেন।
এ বিষয়ে সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, অপমৃত্যুর অভিযোগ পেয়েছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর রহস্য জানা যাবে।