সোনারগাঁয়ে চিকিৎসকদের দায়িত্বে অবহেলা ও আশোভন আচরণের অভিযোগ

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ভ্র্রাম্যমান প্রতিনিধি ) : নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকদের দায়িত্বে অবহেলা ও  রোগীর স্বজনদের সাথে আশোভন আচরণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার (৪ জুন) সকালে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটেছে। জরুরী বিভাগে কর্মরত দুইজন ডাক্তারের সাথে কথা বলতে গেলে এ অশোভন আচরণের শিকার হন ভুক্তভোগী স্বজনরা।

জানা গেছে, সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্সের বড় বাবু নামে খ্যাত ক্যাশিয়ার মোহাম্মদুল্লাহও ওইসময় তেড়ে আসে। পাশাপাশি চিকিৎসকদের পরনে ছিলনা কোনরকম মেডিক্যাল ইকুইপমেন্ট। সেবা নিতে গিয়ে তাদের রোগীদের অবহেলা করা হয়। একপর্যায়ে প্রতিবাদ জানালে, কর্তৃক্ষের অশোভন আচরণে অনেকটাই লজ্জিত হয়ে ফিরে যেতে হয় ভূক্তভোগীদের।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা পলাশ কুমার ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায় মোহাম্মদ উল্লাহ অনেক বছর ধরে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও নারায়নগঞ্জ সিভিল সার্জেন অফিসসহ কাজ করে আসছে। পলাশ কুমার জানান মোহাম্মদ উল্লাহ তার আগেই সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেএক্সে যোগদান করছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা পলাশ কুমার ঘটনা শুনে লিখিত অভিযোগ করার জন্য পরামর্শ দেন।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, মোহাম্মদুল্লার সাথে আছে আরেক নায়েক হাবিল যিনি মেডিক্যাল অফিসার পরিচয় দিয়ে ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল অফিসারের চেয়ারের বসেই সময় পার করেন এবং অশোভন আচরণ করে হাসপাতালে আগত অনেক ব্যাক্তিদের সাথেই। আর রোগিদের ড্রেসিং ও সেলাই কাজ করায় ওয়ার্ড বয় ও সিকিউরিটি গার্ড দিয়ে। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা ডি এম এফ কিন্তু হাকিয়ে বেড়াচ্ছেন এমবিবিএস ডাক্তার মেডিক্যাল অফিসার।

আরও জানা যায়, হাবিল শুধু সাধারণ রোগির স্বজনদের সাথেই নয় বিজ্ঞ আইনজীবিদের সাথেও খারাপ আচরন করেছে। নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবি সমিতির সদস্য বিজ্ঞ আইনজীবি সফর উদ্দিন সবুরের সাথে অশোভন আচরন করেছে এরা। যা আরএমও সজীব পরে মিলমিশ করে দিয়েছেন বলে জানা যায়।

এদিকে এসব বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা. ইমতিয়াজ আহমেদকে বলা হলে তিনি আরএমও সজীব ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে জানাতে বলেন। সিভিল সার্জেনের কথা মত আরএমও সজীবকে কয়েক দফা কল করে পাওয়া যায়নি। পরে সিভিল সার্জন ইমতিয়াজকে আবার কল করলে তিনি লিখিত অভিযোগ করতে বলেন।

ঘটনাটি জানানোর জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইদুল ইসলাম ও স্থানীয় সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকাকেও কল করে পাওয়া যায়নি। তবে ইউনো সাইদুল ইসলাম সন্ধার পর কল করে অনুতপ্ত প্রকাশ করেন এবং ব্যাপারটি খতিয়ে দেখবেন বলেছেন।

উল্লেখ্য, ৪ জুন বৃহস্প্রতিবার সন্ধ্যায় সুলতান মাহমুদদের মাতা অসুস্থ হলে তাকে সোনারগাঁ উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ইমার্জেন্সির ডাক্তার দায়িত্ব অবহেলা করে প্রকৃত সেবা না দিয়ে ঢাকায় নিয়ে যেতে বলেন কিন্তু কোন হাসপাতালে রেফার্ড করেনি বিধায় ঢাকায় কোন হাসপাতালে ভর্তি করাতে না পেরে ভাগিনা ও ভাতিজা সাংবাদিক সুলতান মাহমুদকে রাত ১২টার দিকে কল করলে মায়ের অসুস্থার কথা অবগত হন। তিনি তাৎক্ষনিক বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রানালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। ভোর ৫টায় তার মাকে নিজ বাসায় ফেরত নিয়ে আসে ভাগিনা ও ভাতিজা। মায়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক তাই সকল আত্নীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও শুভাকাংখীদের  কাছে দোয়া চেয়েছেন ভুক্তভোগী সুলতান মাহমুদ।

add-content

আরও খবর

পঠিত