নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ (সোনারগাঁ প্রতিনিধি) : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে একটি গরুর খামারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতরা এসময় নিরাপত্তা প্রহরীর হাত পাঁ বেঁধে গরুর খামার থেকে ৯টি গরু লুট করে নিয়ে যায়। গত (৬ নভেম্বর) শুক্রবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় খামারের মালিক রফিক মিয়া বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৪ ডাকাতকে আটক করেছে এবং একটি গরু উদ্ধার করেছে।
এলাকাবাসীসূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের পিরোজপুর গ্রামের রফিক মিয়া তাঁর গ্রামেরআগমন সিএনজির পেছনে ছোট পরিসরে একটি গরুর খামার গড়ে তুলেন। ওই খামারে গত শুক্রবার রাতে কোন এক সময়ে এক দূর্ধর্ষ ডাকাতি হয়। ডাকাতদল খামারের ও ওই এলাকার একটি গাড়ির গ্যারেজের নিরাপত্তা প্রহরী সোহরাব হোসেনকে মারধর করে হাত পাঁ বেঁধে রফিক মিয়ার খামার থেকে ৯ টি গরু ডাকাতি করে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে আহত অবস্থায় নিরাপত্তাপ্রহরী সোহরাব হোসেনকে শনিবার সকালে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়।
এলাকাবাসী ও পুলিশসূত্রে জানা গেছে, গরুর খামারের মালিক রফিক মিয়ার থানায় দায়ের করা অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে রোববার রাত ৯টায় উপজেলার আলাপদী গ্রামের মৃত. ইদ্রিস আলী ছেলে তকবির (৩৫), ছোট সাদীপুর গ্রাম থেকে শফিকুল ইসলামের দুই ছেলে জুয়েল-(৩০) ও শুভ(২২) এবং রফিকুল ইসলাম ইসলামে ছেলে সুমন(৩২) কে আটক করে। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের হেফাজতে থাকা একটি গরু উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এঘটনায় পুলিশ ৪ ডাকাতকে গতকাল সোমবার জেলা আদালতে প্রেরণ করে এবং ডাকাত তকবির ও জুয়েলকে অন্যান্য সহযোগী আসামীদের আটকের জন্য ৫দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে।
এদিকে খামারের মালিক রফিক মিয়া জানান, শুক্রবার রাতে গরুর খাবার দিয়ে ঘুমিয়ে পড়লে শনিবার ভোরে তাঁর এক আত্মীয় ফোনে জানতে পারে গ্যারেজে ডাকাতি হয়েছে। নিরাপত্তা প্রহরীর চিৎকারের শব্দ শোনা যাচ্ছে। এ খবর শুনে খামারের দরজার তালা ভেঙ্গে দেখি আমার খামারের ৯টি গরু নেই। তিনি বলেন, আমার এতো বছরের কষ্টের আয় দিয়ে গড়া খামারের ৯ টি গরুর দাম প্রায় ১০ লাখ টাকা। আমি আজ একেবারে নি:স্ব হয়ে গেছি।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশসুত্রে আরও জানা গেছে, আটককৃত আসামীরাঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ বিভিন্ন এলাকায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন নারীদেরকে ইভটিজিং ও মাদক ব্যবসা করে থাকে। তাদের বিরুদ্ধে এমন আরও অনেক অভিযোগ রয়েছে। আসামীরা এলাকায় প্রভাবশালী বিধায় কেউ তাদের ভয়ে মুখ খুলতে চায় না। এদের অত্যাচার সাদিপুরসহ আসেপাঁশের কয়েকটি গ্রাম।
এব্যাপারে সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, একটি অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৪জনকে আটক করে জেলা আদালতে প্রেরণ করেছে।