নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নারায়ণগঞ্জ জেলা বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দরা। এ সময় মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে সংক্ষিপ্ত মত বিনিময় সভায় সেলিম ওসমান বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধারা কোন দল বা ব্যক্তির না। মুক্তিযোদ্ধারা হলে দেশের সম্পদ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধাদের যে সম্মান দিয়েছেন ভবিষ্যতে তা আরো অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন। সেই সাথে নারায়ণগঞ্জের বর্তমান সমস্যা গুলো সমাধানের ব্যাপারে সকল মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মিলিত ভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের কাজ করে যাওয়ার আহবান জানিয়েছেন তিনি। মুক্তিযোদ্ধাদের যে কোন প্রয়োজনে তিনি সব সময় মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে ছিলেন, আছেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন।
বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সেলিম ওসমানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উইজডম অ্যাটায়ার্স লিমিটেড এর কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে চতুর্থ দফায় বিকেএমইএ সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় সেলিম ওসমানকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান মুক্তিযোদ্ধারা। এ সময় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নারায়ণগঞ্জ জেলা কমান্ড, সদর উপজেলা কমান্ড এবং বন্দর উপজেলা কমান্ডের পক্ষ থেকে তার হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
এ সময় মুক্তিযোদ্ধারা তাদের বক্তব্যে, অতীতে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সেলিম ওসমানের অবদানের কথা তুলে ধরেন। বন্দর সেন্ট্রাল খেয়াঘাট সংলগ্ন জায়গায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মানের ব্যাপারে সেলিম ওসমানের বলিষ্ঠ ভূমিকা, অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের সাবলম্বী করতে নিজ তহবিল থেকে ২০০ জন মুক্তিযোদ্ধাকে ৫০ হাজার টাকা করে ১ কোটি টাকার সহযোগীতার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নারায়ণগঞ্জ জেলার কমান্ডার মোহাম্মদ আলী তার বক্তব্যে বলেছেন, একটা সময় ছিল মুক্তিযোদ্ধারা ছিল অবহেলিত। আগে মুক্তিযোদ্ধাদের সে ভাতা দেওয়া হতো সেটা ছিল দু:স্থ ভাতা। কিন্তু বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত করেছেন। ওই ভাতাকে তিনি বৃদ্ধি করে সম্মানী ভাতা করেছেন। এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদান করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা বলেই উনার পক্ষে এটা সম্ভব হয়েছে। আমরা মুক্তিযোদ্ধারা সকলে উনার প্রতি কৃতজ্ঞ।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চাষাঢ়া ইউনিটের কমান্ডার ফরিদা আক্তার বলেন, সেলিম ওসমান আমার ছেলে মত। সে যেভাবে সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে তা আর অন্য কাউকে করতে দেখি নাই। আসলে সে যেভাবে দুই হাত ভরে মানুষকে দান করে এটা সে পারিবারিক ভাবে পেয়েছে। তার বাবা মরহুম একেএম শামসুজ্জোহা এভাবে মানুষকে দান করে দিতেন। নিজের ঘরের বাজারের খরচ টুকুও তিনি মানুষের হাতে তুলে দিতে একবারও চিন্তা করেনি। আমার দেখা মতে সেলিম ওসমানের বড় ভাই নাসিম ওসমানও এমন ছিলেন।
সেলিম ওসমান তার বক্তব্যে আরো বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য যে ১ কোটি টাকা দেওয়া হয়ে ছিল তার জন্য অনেকেই বিভিন্ন মন্তব্য করেন। আমি জানি অনেকেই হয়তো অস্বচ্ছলতার কারনে পারিবারিক কাজে টাকাটা ব্যয় করেছেন। কিন্তু আমি এতে দোষের কিছু দেখছি না। তবে ওই উদ্যোগটিতে আমাদের কিছু ভুল ছিল। আমরা সঠিক ভাবে দিক নির্দেশনা, সেমিনারের আয়োজন করতে পারি নাই। যদি আমার সহকর্মীরা সমবায় ভিত্তিতে কিছু একটা করতো তাহলে হয়তো আজকে অনেকের স্থায়ী উপার্জনের একটা ব্যবস্থা হতো। তবে ভবিষ্যতে এমন আরো অনেক উদ্যোগ নেওয়া হবে। আশা করছি সে গুলোতে কোন ভ্রুটি থাকবে না। সঠিক দিক নির্দেশনা আমাদের সকলের প্রচেষ্টায় মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ভাল কিছু করা সম্ভব হবে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ বন্দর থানার কমান্ডার আব্দুল লতিফ, সদর উপজেলার কমান্ডার শাহজাহান ভূইয়া জুলহাস, সামিউল্লাহ মিলন, আবু তাহের সহ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন কমান্ডের নেতৃবৃন্দরা।