নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আদমজী ইপিজেডের সামনে বকেয়া বেতনের দাবিতে ফের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকরা। ৯ জানুয়ারি শনিবার সকাল ৮টা থেকে নারায়ণগঞ্জ-আদমজী-শিমরাইল সড়কে শ্রমিকদের বিক্ষোভ শুরু হয়।
দুই দফা পুলিশের লাঠিচার্জ ও টিয়ার সেল নিক্ষেপের পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। আন্দোলত শ্রমিকরা নারায়ণগঞ্জ-আদমজী-চিটাগাংরোড সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে আগুন জ্বালিয়ে যান চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। ফলে সকাল থেকেই সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হওয়ায় এতে দুর্ভোগ ও ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জানায়, আদমজী ইপিজেডের কুনতং এপারেলস লিমিটেড (ফ্যাশন সিটি) ১০ আগষ্ট হঠাৎ দুই দিনের ছুটি ঘোষণা দিয়ে কারখানা বন্ধ করে দেয়। সেই বন্ধ বাড়াতে বাড়াতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে বন্ধ হওয়ার পরেও শ্রমিকদের তিন-চার হাজার টাকা করে বেতন পরিশোধ করে আসছিলো মালিক পক্ষ। তার ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার বেতন দেওয়ার কথা থাকলেও গার্মেন্ট কর্তৃপক্ষ বেতন দেয়নি।
গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষ আগামী ২০ জানুয়ারি বেতন দেওয়ার ঘোষণা দেয়। যার কারণে প্রায় এক হাজার শ্রমিক শনিবার সকাল ৮টা থেকে আদমজী ইপিজেডের প্রধান কার্যালয়ে অবস্থান নেন। সেখানে তাদের সাথে আনসার ও ইপিজেডের নিরাপত্তা কর্মীরা বাজে ব্যবহার করে বলে অভিযোগ করেন তারা।
এদিকে সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুৎ অফিসের সামনে একটি প্রাইভেটকার (ঢাকা-মেট্টো-গ-৩৯-০১৪৮) গাড়ি ভাংচুর করে এবং কারের চালক নুর ইসলামকে মারধর করে আহত করে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার বেলা ২টার দিকে সড়কে যানবাহন চলাচল শুরু করে।
রাস্তা অবরোধের খবর পেয়ে ইন্ডাষ্ট্রিয়াল পুলিশ-৪ এর সিনিয়র এএসপি আইনুল হক, নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের সাথে আলোচনা করেও আন্দোলন থামাতে ব্যর্থ হন।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ-৪ এর সিনিয়র এএসপি আইনুল হক জানান, আগামী ২০ তারিখে মালিকপক্ষ থেকে শ্রমিকরদের বকেয়া বেতন পরিশোধের আশ্বাস দিলেও তারা আবারও তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ৭ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করতে গিয়ে আনসারদের সাথে সংঘর্ষে ২০ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।