নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ডেস্ক রিপোর্টার ) : বিতর্কিত রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের সময় বুকে ব্যথার কথা বললে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয় । ১৮ আগস্ট মঙ্গলবার তাকে দ্বিতীয় দিনের মতো জিজ্ঞাসাবাদ করছিলো দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরুর দিকে তিনি হঠাৎ করে বলেন, তার বুকে প্রচণ্ড ব্যথা করছে।
এরপর তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহাজাহান মিরাজ তাকে দ্রুত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) নিয়ে যান। এ সময় তার ইসিজিসহ ৩ বার রক্ত পরীক্ষা করা হয়। অন্যান্য পরীক্ষা করেও চিকিৎসক তার বুকে কোনো সমস্যা পাননি। তার রক্তচাপ সহ শারীরিক অন্যান্য বিষয়ও ছিল স্বাভাবিক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুদকের একজন কর্মকর্তা জানান, ডাক্তার নানা পরীক্ষা করে তার বুকে কোনো সমস্যা পাননি। এরপরও তিনি ডাক্তারকে বলছিলেন, বুকে প্রচণ্ড ব্যথা করছে। ব্যথা না থাকার পরও তিনি যদি বলেন, ব্যথা করছে, তাহলে কিইবা করার থাকতে পারে !
এরপর বিএসএমএমইউ থেকে সাহেদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকার সেগুন বাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আনা হয়। জালিয়াতি করে পদ্মা ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালত তার ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মঙ্গলবার তাকে দ্বিতীয় দিনের মতো জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সাত দিনের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে রমনা থানা হাজতে রাখা হচ্ছে।
রিজেন্ট হাসপাতালের এমআরআই মেশিন কেনার নামে জালিয়াতি করে ঋণের নামে সাবেক ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমান পদ্মা ব্যাংক) ১ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন সাহেদ করিম। চলতি বছরের ১৫ জুলাই পর্যন্ত ওই টাকা সুদ-আসলে ২ কোটি ৭১ লাখ টাকা হয়েছে। এই পরিমাণ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত ২৭ জুলাই সাহেদ করিমসহ চার জনকে আসামি করে মামলা করে দুদক।
মামলার অন্য তিন আসামি হলেন সাবেক ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) নীরিক্ষা কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী ওরফে বাবুল চিশতী, বাবুল চিশতীর ছেলে রাশেদুল হক চিশতি ও রিজেন্ট হাসপাতালের এমডি মো. ইব্রাহিম খলিল। বাবুল চিশতী বর্তমানে জেলে আছেন।