নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : নারায়ণগঞ্জে কারখানায় ভেজাল ও মানহীন খাদ্য পানীয় তৈরির দায়ে মো. মজিবুর রহমান (৫০) নামে এক ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১ দল। ১০ আগস্ট সোমবার সন্ধ্যায় সোনারগাঁ থানাধীন সাদিপুর এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কারখানায় অভিযান চালিয়ে ভেজাল ও মানহীন খাদ্য পানীয় তৈরির সময় হাতে নাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
অভিযান কালে এ সময় কারখানায় তৈরি অবস্থায় ১০০ মি:লি: ওজনের ১২৯৬ বোতল অরেঞ্জ ফ্লেভার ড্রিংক, ১০০ মি:লি: ওজনের ১৫১২ বোতল লিচি ফ্লেভার ড্রিংক, ১০০ মি:লি: ওজনের ১১৫২ বোতল লাচ্ছি এডেড মিল্ক, ৪ কেজি সাইট্রিক এসিড, ৪ কেজি তরল ম্যাংগো ফ্লেভার, ২ কেজি পটাসিয়াম সালফেট এবং ভেজাল ও মানহীন খাদ্য পানীয় বোঝাই ১টি মিনি কাভার্ড ভ্যান উদ্ধার করা হয়। তাছাড়া ওই অভিযানের সময় কারখানার এমডি মো. রশিদ আলী ও কারখানার ম্যানেজার মো. সুজন মাহমুদ কৌশলে পালিয়ে যায়।
১১ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ বার্তাকে র্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী, পিপিএম এক সংবাদ বিবৃতে জানান, গ্রেফতারকৃত আসামী মো. মজিবুর রহমান ও পলাতক আসামী মো. সুজন মাহমুদ পরষ্পর যোগসাজশে কয়েক বছর যাবৎ নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ থানাধীন সাদিপুর এলাকায় জনৈক ছানোয়ারের বাসা ভাড়া নিয়ে সরকারী অনুমোদন না নিয়ে আর এন আর ড্রিংকস এন্ড এগ্রো প্রোডাক্টস নামক ফ্যাক্টরী চালিয়ে আসছিল বলে জানা যায়।
তিনি আরো জানান, ফ্যাক্টরীতে পাতাকুড়ি ব্র্যান্ড নাম ধারণ করে ভেজাল ও মানহীন খাদ্য পানীয় অরেঞ্জ ফ্লেভার ড্রিংক, লিচি ফ্লেভার ড্রিংক ও লাচ্ছি এডেড মিল্কসহ বিভিন্ন ধরনের ভেজাল পানীয় বিএসটিআই এর অনুমোদন না নিয়েই বিএসটিআই এর লোগো ব্যবহার করে উৎপাদন ও বাজারজাত করে আসছে তারা। পাতাকুড়ি ব্র্যান্ড এর পণ্য তৈরির জন্য লেবেলে ব্যবহার করা ঠিকানা রায়েরবাগ যাত্রাবাড়ী, ঢাকা বাংলাদেশ থাকলেও তারা অবৈধ উপায় অবলম্বন করে সোনারগাঁ থানাধীন সাদিপুর এলাকায় অবস্থিত ফ্যাক্টরীতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ভেজাল ও মানহীন খাদ্য পানীয় তৈরি করে বাজারজাত করে আসছে যা শিশু ও জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। এছাড়াও অনুসন্ধানে জানা যায় যে, উক্ত ফ্যাক্টরীর নামে কোন ভ্যাট রেজি: নেই। তারা কোন প্রকার মূসক প্রদান না করে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে এই সকল অননুমোদিত ভেজাল ও মানহীন খাদ্য পানীয় নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করে আসছিল বলে জানা গেছে। গ্রেফতারকৃত ও পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।