নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর সংবাদ দাতা ) : নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানাধীন কামতাল ফাঁড়ির এস আই শফিকুল ইসলাম কর্তৃক শ্যামল নামের এক মাদক বিক্রেতাকে মাদকসহ আটকের পর ৫৫ হাজার টাকা উৎকোচের বিনিময় ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রকৃতপক্ষে শ্যামলকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালালে ওই মাদক বিক্রেতা পালিয়ে যায়।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার বন্দর থানাধীন মুছাপুর ইউপির শ্বাসনেরবাগ এলাকা থেকে মাদক বিক্রেতা শ্যামলকে আটক করে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে কামতাল ফাঁড়ির দারোগা শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে। তবে প্রকৃত ঘটনা হলো মাদক বিক্রেতা শ্যামলকে কিছুদিন পূর্বে আটক করে ওই দারোগা শরিফুল। পরে তার বিরুদ্ধে মাদকের মামলা দিয়ে আদালতে প্রেরন করেন। এরপর শ্যামল কয়েকদিন আগে জামিনে মুক্ত হয়ে ফের মাদক বিক্রি করে যাচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউপির শ্বসনেরবাগ এলাকায় তার নিজ বাড়িতে শ্যামল মাদক বিক্রি করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কামতাল ফাঁিড়র দারোগা শরিফুলসহ সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালায়। কিন্তু পুলিশ তার বাড়িতে অভিযান চালাবে এমন তথ্য পেয়ে শ্যামল পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পরে পুলিশ তাকে না পেয়ে ফিরে আসে। কিন্তু ওই মাদক বিক্রেতা নিজেকে সেভ করার জন্য এস আই শরিফুলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন গণমাধ্যমে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আশ্রয় নিতে সংবাদ পরিবেশন করেছে। ওই মাদক বিক্রেতা শ্যামলের উদ্দেশ্য হলো সে যাতে ভবিষ্যতে প্রকাশ্যেই মাদক বিক্রি করতে পারে। সেজন্য এধরনের মিথ্যাচার করছে বলে কামতাল ফাঁড়ির এস আই শরিফুল জানায়।
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম এ প্রসঙ্গে জানান, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।
এ ব্যাপারে কামতাল ফাঁড়ির এস আই শরিফুল জানান, শ্যামল একজন চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা। ইতিপূর্বে তাকে আমি মাদকসহ গ্রেফতার করেছি। গ্রেফতারের পর তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দিয়ে আদালতে প্রেরন করি। তখন সে আমাকে মোটা অংকের টাকা ঘুষ দিয়ে মুক্তি পেতে অফার দিয়েছিল। কিন্তু আমি আইন মেনে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করি। পরে সে জামিনে মুক্ত হয়ে এসে পূনরায় মাদক বিক্রি করছে এমন খবর পেয়ে তার বাড়িতে মঙ্গলবার ফের অভিযান চালাই আমরা। কিন্তু সে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। পালিয়ে গিয়ে সে নিজেকে রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন সাংবাদিক ভাইদেরকে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে। যা খুবই দু:খজনক।