নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর প্রতিনিধি ) : বন্দর থানার চৌকস পুলিশ অফিসার এসআই আব্দুল আলিমের বিচক্ষনতায় অবশেষে শিশু ফাতেমার অমানবিক নির্যাতনের ঘটনায় সৎ মা মুন্নী বেগম(২৮)কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । রোববার ভোরে রাজধানী ঢাকার উত্তর বাড্ডা এলাকায় সুকৌশলে তারই এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর পূর্বে শনিবার রাতে নির্যাতনের শিকার শিশুর দাদা মো. মহিউদ্দিন মিয়া তার পাষন্ড পুত্রবধূ মুন্নী বেগমকে একমাত্র আসামী করে বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ৯(৫)১৮ ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সং/০৩) এর ৪ এর ২(ক) । গ্রেপ্তারকৃত মুন্নী বেগম বন্দরের ঘাড়মোড়া এলাকার দিনমজুর রোমান মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী।
গত ৩০ এপ্রিল সৎ মা মুন্নী বেগম এ অমানবিক ঘটনা গোপন করেছিল। পরে শনিবার সকালে এলাকবাসী ঘটনাটি জানতে পেরে মুন্নী বেগমের শাস্তির দাবিতে তাকে বাড়িতে অবরুদ্ধ করে গনমাধ্যমকে খবর দেয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার পূর্বেই মুন্নী বেগম পালিয়ে যায়। সে পালিয়ে যাওয়ায় তার শ্বশুর মো. মহিউদ্দিন শনিবার রাতেই পুত্রবধু মুন্নী বেগমকে একমাত্র আসামী করে বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
মো. মহিউদ্দিন মামলায় উল্লেখ করেন, তার ছেলে রোমানের প্রথম স্ত্রী জীবিকার তাগিদে সৌদি আরব রয়েছে। তার ঘরে রাজ (৬) নামে এক ছেলে এবং ফাতেমা আক্তার (৫) নামে এক কন্যা সন্তান রয়েছে। শেফালী সৌদি আরব যাবার পর রোমান মুন্নী বেগমকে বিয়ে করে। মুন্নীর ঘরেও ২ সন্তান রয়েছে। কিন্তু মুন্নী তার বড় সতীনের সন্তানদের কারণে অকারণে মারধর ও বকাঝকা করতো। গত ৩০এপ্রিল মুন্নী শিশু ফাতেমার হাত-পা ও মুখ বেঁধে খুন্তি গরম করে গোপনাঙ্গ ও দুই উরুতে ছ্যাঁকা দেয়। এতে শিশুটি গুরুতর আহত হয়। ফাতেমার বাবা রোমান মিয়া বাড়ি ফিরে এ ঘটনা জানতে পেরে ফাতেমাকে গোপনে নারায়ণগঞ্জ ৩’শ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করায়। বিষয়টি এতদিন গোপন থাকলেও গত শনিবার তা প্রকাশ হয়ে পড়ে। তখন স্থানীয় এলাকাবাসী মুন্নীর বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলসহ বাড়িতে আটকে রাখে। পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার পূর্বেই মুন্নী কৌশলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
বন্দর থানার ওসি শাহীন মন্ডল বলেন, যেহেতু মামলায় সে একমাত্র আসামী এবং ঘটনাটি সেই ঘটিয়েছি তাই তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন নেই। গ্রেপ্তার পর তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠিয়ে দিয়েছে।