শিক্ষক লাঞ্চনার ভিডিও-চিত্র কি মিথ্যা?- পুলিশের প্রতিবেদনে জনমনে প্রশ্ন

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ (ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি) :  নারায়ণগঞ্জ বন্দরের আলোচিত ঘটনা পিয়ার সাত্তার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে কান ধরে উঠ-বস করানোর বিষয়ে সাংসদ সেলিম ওসমানের সম্পৃক্ততা নেই বলে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি)। তাহলে সাংবাদিকদের নিকট থাকা ভিডিও ফুটেজ-ছবি কি মিথ্যা ? এমন প্রশ্ন এখন জেলার পুরো সচেতন মহলের। ৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে হাতে লেখা একটি প্রতিবেদন জমা দেয়া অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের কার্যালয়ে। রিপোর্টটি সত্যায়িত আকারে পূনরায় জমা দেয়ার নির্দেশ দেয় অ্যাটর্নি জেনারেল। সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি মোতাহের হোসেন সাজু।

এর আগে গত ৯ জুন শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় দায়ের করা সাধারণ ডায়েরির তদন্ত প্রতিবেদনেরে উপর ভিত্তি করে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে পুলিশ সুপার ও বন্দর থানার ওসিকে  নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ঐ দিন আগামী ৭ আগস্ট মামলার পরবর্তী আদেশ ও শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।

নির্দেশ অনুযায়ী বৃহস্পতিবার ৪ আগস্টের মধ্যে এফিডেফিট ( সত্যায়িত ) আকারে আদালতে দাখিল করার কথা ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার তারা হাতে লেখা একটি প্রতিবেদন অ্যাটর্নি কার্যালয়ে জমা দেন। পরে তা আগামী রবিবারের মধ্যে এফিডিভিট আকারে জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়।

এ বিষয়ে জেলার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের সাথে আলাপকালে জানা যায়, শিক্ষক শ্যামল কান্তিকে কান ধরে উঠ-বস করানোর যে ভিডিও-ছবি সাংবাদিকরা বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে ও পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ করেছে তা কি মিথ্যা ? নাকি কাল্পনিক ! এমন প্রশ্ন বাসা বেধেছে জনমনে।

নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার ও বন্দর থানার ওসির সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৯ জুন হাইকোর্টের বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মোহম্মদ ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে পত্রিকার প্রতিবেদন উপস্থাপনকারী সিনিয়র আইনজীবী এমকে রহমান ও মহসীন রশীদ উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।

এর আগে ২৮ মে নারায়ণগঞ্জের ডিসি, এসপি ও ওসির প্রতিবেদনে সন্তুষ্ট না হয়ে তাদেরকে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। সে মোতাবেক নারায়ণগঞ্জের ডিসির পক্ষ থেকে শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনার পূর্নাঙ্গ প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।

প্রতিবেদনে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনাসহ শিক্ষককে স্বপদে পুনর্বহাল, প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটি বাতিল করে অ্যাডহক কমিটি গঠনসহ যেসকল পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তার বিস্তারিত বর্ণনা তুলে ধরা হয়েছে।

add-content

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও খবর

পঠিত