নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( রূপগঞ্জ প্রতিনিধি ) : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মেট্রোরেল এমআরটি লাইন ১ এর জন্য অধিগ্রহণকৃত জমির মূল্য পরিশোধ না করে সীমানা বুঝিয়ে নিতে এসে জমি মালিকদের বাঁধা ও বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন জেলা প্রশাসন ও মেট্রোরেল কর্মকর্তারা। এসময় অধিগ্রহনকৃত জমির সঠিক মূল্য পরিশোধের দাবিতে কর্মকর্তাদের সামনেই দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ কর্মসূচী পালন করে জমির মালিকরা। এক পর্যায়ে বিক্ষোভ ও বাঁধার মুখে জেলা প্রশাসন ও মেট্রোরেল কর্মকর্তারা চলে যান। ৮ই ফেব্রæয়ারি মঙ্গলবার সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের পিতলগঞ্জ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এদিকে, মেট্রোরেল ও জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষের দাবী তারা পরিদর্শন করতে এসেছেন।
প্রতিবাদ সভায় বক্তব্যে রাখেন, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হারেজ, জাইদুল ইসলাম, সামসুল হক মুন্সি, আমিনুল ইসলাম ঝিনু, আব্দুল আউয়াল ভুইয়া, মনিরুজ্জামান ভুইয়া, মোখলেছুর রহমান ভূইয়া, আরিফ খান জয়সহ অনেকে।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, আমরা সরকারের মেগা প্রকল্প মেট্রোরেল এমআরটি লাইন ১ এর অংশীদার হতে চেয়েছি, এজন্য আমরা আমাদের ভিটে মাটি, ফসলী জমি অধিগ্রহণ করতে কোন বিরোধীতা করিনি। মেট্রোরেলের আওতায় পিতলগঞ্জ ও ব্রাক্ষ্মণখালী মৌজায় কবরস্থান, মসজিদ, মাদরাসাসহ ৬ শতাধিক ঘর বাড়ি, জমি জমাসহ ৩২০ বিঘা জমি অধিগ্রহন করা হয়েছে কিন্তু এ পর্যন্ত মাত্র ২ বিঘা জমির মূল্য দিয়ে পুরো ৩২০ বিঘা জমি বুঝে নিয়ে চায় নারায়ণগঞ্জ এলএ শাখা। এতে স্থানীয় বাসিন্দা ও জমির মালিকরা চরম ভোগান্তিতে পড়বেন। জমির মূল্য না দিয়ে জমি থেকে আমাদের তুলে দিলে আমরা কোথায় যাবো। মূল্য না দিয়ে জমি বুঝে নিতে চাইলে কোন ক্রমেই দেয়া হবে না। এছাড়া আমরা মহামান্য হাইকোর্টে রিট করেছি। ওই রিটের রায় না আসা পর্যন্ত তাদের জমি নিতে দেব না।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের এডিসি রাজস্ব তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আমরা রূপগঞ্জের মেট্রোরেল এমআরটি লাইন ১ প্রজেক্ট পরিদর্শন করতে গিয়েছি। কারো বাঁধার শিকার হয়নি। তবে স্থানীয়দের দাবী দাওয়ার কথা শুনেছি। তাদের দাবী লিখিতভাবে জানালে বিষয়টি সুরাহা করতে সুবিধা হবে।
এদিকে এ বিষয়ে মেট্রোরেল এমআরটি লাইন ১ এর ডেপুটি সেক্রেটারি হাবিবুর রহমান বলেন, আমরা জমি বুঝে নিতে আসিনি। পরিদর্শন করতে এসেছিলাম। জমি মালিকদের সঙ্গে সব বিষয় সমাধান করে আমরা জমি বুঝে নিবো।