নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ডেস্ক রিপোর্ট ) : আহলান ওয়া সাহলান ইয়া শাহরু রামাজান, খোশ আমদেদ মাহে রমজান। আলস্নাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে মর্যাদার মাপকাঠি তাকওয়ার গুণ অর্জনের মাধ্যমে গুনাহ মাফের বিশেষ সুযোগের মাস রমজানুল মোবারকের আজ মঙ্গলবার প্রথম দিবস। মানব জাতির জন্য কল্যাণ আর রহমতের বার্তা নিয়ে আবার এলো সিয়াম সাধনার এ পবিত্র মাস। সোমবার (৬ মে) দেশের বিভিন্ন স্থানে রমজান মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় আজ মঙ্গগলার ( ৭ মে) থেকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা রোজা রাখা শুরু করেছেন। বিশ্বের মুসলমানরা আবেগাপস্নুত হয়ে রমজানকে সাদর সম্ভাষণ জানিয়েছেন।
সেহরি, ইফতার, তারাবি, আত্মশুদ্ধি, আত্মসংযম, সহমর্মিতা, সহিষ্ণুতা, কিয়ামুল লাইল, ইতিকাফ, লাইলাতুল কদর আর জুমাতুল বিদার মাস রমজান এসেছে আমাদের মাঝে আনন্দ সুরভি বিলাতে।
ইসলাম ধর্মের পঞ্চস্তম্ভের অন্যতম হচ্ছে রোজা। নামাজের পরই মুসলমানদের প্রতি আলস্নাহ তাআলা যে ইবাদত ফরজ করেছেন, তা হচ্ছে মাহে রমজানের রোজা। দ্বিতীয় হিজরি সালে উম্মতে মুহাম্মদীর ওপর রমজান মাসের রোজা ফরজ করা হয়। তবে এই রোজা অন্যান্য জাতির ওপরও ফরজ ছিল। ইসলামের অন্যান্য বহু আদেশ-নির্দেশের মতো রোজাও ক্রমিক নিয়মে ফরজ হয়েছে। আলস্নাহ রাব্বুল আলামিন কেবল মাহে রমজানে রোজা নির্দিষ্ট ও এতেই সীমাবদ্ধ করে দেননি, বরং শরিয়তসম্মত কোনো অনিবার্য কারণবশত কেউ রমজান মাসে রোজা পালন করতে না পারলে অন্য যেকোনো সময় রোজার কাজা আদায় করার পথও আলস্নাহ তাআলা উন্মুক্ত রেখেছেন।
মাহে রমজানে সিয়াম সাধনা ও আলস্নাহর শুকরিয়া আদায় সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, রমজান মাসে মানুষের দিশারি এবং সৎ পথের স্পষ্ট নিদর্শন ও সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারীরূপে কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা এ মাস পাবে, তারা যেন এ মাসে রোজা পালন করে। আর কেউ অসুস্থ থাকলে কিংবা সফরে থাকলে অন্য সময় এ সংখ্যা পূরণ করতে হবে। আলস্নাহ তোমাদের জন্য যা সহজ তা চান এবং যা তোমাদের জন্য কষ্টকর তা চান না, এ জন্য যে তোমরা (রোজার) সংখ্যা পূর্ণ করবে এবং তোমাদের সৎ পথে পরিচালনা করার কারণে তোমরা আলস্নাহর মহিমা কীর্তন করবে, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পার। (সূরা আল-বাকারা, আয়াত-১৮৫)