যৌতুকের বলি হলো অন্তঃস্বত্ত্বা ফাতেমা

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর প্রতিনিধি ) : নারায়ণগঞ্জের বন্দরে আত্মহত্যার প্রবণতা আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ৩দিনের ব্যবধানে ৩টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার সন্ধায় তৃতীয় আত্মহত্যার ঘটনাটি ঘটে থানার ১হাজার গজের মধ্যে রূপালী গেইট এলাকায়। নিহতের নাম ফাতেমা বেগম। সে ওই এলাকার মিজানুর রহমানের বাড়ির ভাড়াটিয়া মালেক মিয়ার মেয়ে। স্বামী ও

শ্বশুরবাড়ির লোকজন যৌতুকের দাবিতে চাপ সৃষ্টি করায় বাধ্য হয়েই এ্যানড্রিন পান করে আত্মহত্যা করে ৩সন্তানের ওই জননী। এ ঘটনায় পুলিশ ফাতেমার শাশুড়ী বিউটি বেগম(৪৮) কে আটক করলেও ঘাতক স্বামী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এ ব্যাপারে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। যার নং ৬২(৩)১৮ইং।

বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম শাহিন মন্ডল ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছে। নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়,সুদূর শরীয়তপুর জেলার ঢামুড্যা থানার শম্ভুঘাট এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে আল আমিনের সঙ্গে বিগত ৯মাস পূর্বে কুমিল্লা জেলার মাঘনা থানার তালতলী গ্রামের মানিক মিয়ার মেয়ের সামাজিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় ফাতেমার পরিবার থেকে ১লাখ টাকা যৌতুক দেয়া হয়। স্ত্রীকে নিয়ে আল আমিন নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার রূপালী গেইট এলাকার মিজানুর রহমানের বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করে আসছে। কিছুদিন না যেতেই আল আমিন ও তার মা বিউটি বেগম ফের অটোরিকশা কিনে দেয়ার জন্য ফাতেমাকে চাপ সৃষ্টি করে আসছিল।

এর ধারাবাহিকতায় সোমবার সকালে উভয়ের মধ্যে কলহ দেখা দেয়। এক পর্যায়ে আল আমিন অটোরিকশা কিনে না দিলে অন্যত্র বিয়ে করার হুমকি দিলে অভিমানে ৩ মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা ফাতেমা ইদুর মারার কীটনাশক পানে আত্মহত্যা করে।

উল্লেখ্য,এ ঘটনার ২দিন আগে থানার বেপারীপাড়া এলাকায় প্রেমঘটিত কারণে শান্তা(১৮) এর একদিন পর একই ঘটনায় শান্তার প্রেমিক নাদিমের বন্ধু গলায় ফাঁস লাগিয়ে আতœহত্যা করে।

add-content

আরও খবর

পঠিত