নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : বহুল প্রতীক্ষিত মেঘনা সেতুর উদ্বোধন হওয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট নেই বললেই চলে। সেতুটি হওয়ায় প্রতি বছরের মতো এবার আর ঈদকে কেন্দ্র করে বাড়ি ফেরার পথে মানুষের আর ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজট পোহাতে হবেনা। শনিবার (২৫ মে) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতুটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পর থেকে যানবাহন চলাচলের জন্য সেতুটি উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।
নির্দিষ্ট সময়ের প্রায় সাত মাস আগে দ্বিতীয় কাঁচপুরসহ এ নতুন দুইটি সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ায় প্রায় ৭০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে।
জানা যায়, প্রতি বছর ঈদসহ বড় কোনো ছুটি আসলেই বাড়িফেরা মানুষের চাপে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয় এ সড়কে। এ যানজট ছাড়িয়ে যায় কাঁচপুর সেতু ও ঢাকা সিলেট মহাসড়কেও। গত বছর রমজানের শেষ দিকে ঈদকে কেন্দ্র করে বাড়িফেরা মানুষের চাপে এ যানজট ঢাকা নারায়ণগঞ্জের মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার পর্যন্ত চলে আসে। তবে এবার আর সে ধরনের কোনো সমস্যা থাকবেনা বলে জানিয়েছে ট্রাফিক বিভাগ।
বাংলাদেশ সরকার ও জাইকার অর্থায়নে সাড়ে ১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে মেঘনা নদীর ওপর ১২টি স্প্যানের ৯৩০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১৭ দশমিক ৭৫ মিটার প্রস্থের দ্বিতীয় মেঘনা সেতু নির্মাণ করা হয়। সেতুটির নির্মাণ কাজে সময় লেগেছে ৪১ মাস।
যাত্রীরা জানায়, আগে এ সড়কটি পার হতেই সময় লাগতো কয়েকঘণ্টা। ঈদের আগে তো এক স্থানেই কয়েক ঘণ্টা পার করে দিতে হতো তাদের। আজকে সেতু চালু হবার পর তো মুহূর্তেই পার হয়ে এলেন।
বাসচালকরা জানান, সেতু চালু হওয়ায় এক টানে চলে আসা যাওয়া করা যাচ্ছে। আগে তো যেতে আসতে তাদের অনেক সময় লাগতো। এমনো দিন গেছে তারা সড়কেই ইফতার ও সেহরি করেছেন। এবার আর গতবারের মতো কোনো যানজট থাকবেনা বলে আশা করেন।
জাতীয় এ মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৩৫ হাজারেরও বেশি যানবাহন চলাচল করে। গোমতী-মেঘনা এ দুই সেতুর টোলপ্লাজা অতিক্রম করতে গিয়ে যানজটের মুখোমুখি হতে হয় যাত্রীদের। নিত্যদিনের যানজটের কারণে মহাসড়কটি মহাভোগান্তিতে রূপ নিয়েছিল। বিগত পাঁচ থেকে ছয় বছর ধরে চলমান এ ভোগান্তির অবসানে ২০১৬ সালে দ্বিতীয় গোমতী-মেঘনা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা ট্রাফিক পুলিশের টিআই (প্রশাসন) মোল্ল্যা তাসনিম হোসেন জানান, প্রতি বছর তারা এ যানজট নিয়ন্ত্রণে বাড়তি পুলিশের সহায়তা নিয়ে থাকেন। এ বছর এ সেতু ও কাঁচপুর দ্বিতীয় সেতু থাকায় আর কোনো যানজট সমস্যা থাকবেনা বলে প্রত্যাশা করেন।