মেগা প্রকল্প কাজের অগ্রগতি তদারকিতে সেলিম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়ন এলাকায় অবস্থিত হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মহাতীর্থস্থান লাঙ্গলবন্দে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে স্থানীয় সরকার অধিদপ্তর এবং গণপূর্ত অধিদপ্তরের নারায়ণগঞ্জের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী প্রৌকশলীদের সাথে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার ২০ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টা থেকে নারায়ণগঞ্জের এলজিআরডি ও গণপূর্ত অধিদপ্তরে গিয়ে কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন।

এ সময় স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রৌকশলী স্বপন কান্তি পাল এবং প্রকল্প জিপি চৌধুরী এমপি সেলিম ওসমানের কাছে প্রকল্পের ডিজিটাল নকশা এবং একটি থ্রিডি অ্যানিমেশন প্রদর্শন করে বিস্তারিত তুলে ধরেন। অপরদিকে গণপূর্ত অধিপ্তরের নির্বাহী প্রৌকশলী মাহবুবুর রহমানও সংসদ সদস্যের কাছে তাদের করা প্রকল্পের নকশা তুলে ধরেন।

এ ব্যাপারে এমপি সেলিম ওসমান, লাঙ্গলবন্দে যে মেগা প্রকল্পের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে সেটি ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারীতে শুরু হয়ে ২০১৯ সালের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। ইতোমধ্যে সরকার থেকে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই প্রকল্পটি এলজিআরডি, গণপূর্ত অধিদপ্তর এবং সড়ক ও জনপথের মাধ্যমে করা হচ্ছে। এই প্রকল্পে বিশাল পরিমানে জমি অধিগ্রহন করা হবে। আমার কাছে মনে হচ্ছে এই তিনটি দপ্তরের মাঝে কোথাও সমন্বয়হীনতার ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে জমি অধিগ্রহন বিলম্বিত হওয়ায় প্রকল্পের কাজে ধীর গতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। খুব দ্রুত ৩টি দপ্তরের নির্বাহী প্রৌকশলীদের নিয়ে একত্রে বসে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা গুলো সমাধান করা হবে। যাতে করে প্রকল্পের উন্নয়নের কাজ তরানি¦ত হয়। ইতোমধ্যে লাঙ্গলবন্দে ৫টি নতুন ঘাট নির্মানের অর্থ বরাদ্দ চলে এসেছে। লাঙ্গলবন্দের পূণ্যার্থীদের দুভোর্গের কথা চিন্তা করে এ বছর ¯œানোৎসব শেষে ৫টি ঘাটের নির্মান কাজ শুরু করা হবে। পর্যায়ক্রমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমোদিত লাঙ্গলবন্দের মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে লাঙ্গলবন্দকে একটি আর্ন্তজাতিক পর্যটন কেন্দ্রে রূপান্তর করা হবে।

এছাড়াও বন্দরে বিভিন্ন ইউনিয়ন এলাকায় রাস্তাঘাটের উন্নয়ন এবং সংস্কার কাজের ব্যাপারে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে বন্দর উপজেলার সব গুলো ইউনিয়নে যাতায়াতের উন্নয়নের প্রয়োজন রয়েছে এমন সকল রাস্তার উন্নয়ন কাজের প্রকল্প অনুমোদন ও অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আশা করছি আগামী কয়েক মাসের মধ্যে উপজেলার সকল রাস্তাঘাটের উন্নয়ন সম্পন্ন হবে। তবে এক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদ গুলোর চেয়ারম্যান, মেম্বার সহ স্থানীয় জনগনের সব থেকে বেশি সহযোগীতা থাকতে হবে। সকলের সহযোগীতা থাকলে আশা করছি আগামী ৬ মাসের মধ্যে সকল কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। যার মধ্যে রয়েছে মুছাপুর আর এইচডি পাকা রাস্তা হতে মুছাপুর আতাউল্লাহ মিয়ার বাড়ী, ভায়া মুছাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত ১ কিলোমিটার রাস্তা উন্নয়ন, মালিবাগ হাইস্কুল-বালীগাঁও ১ দশমিক ১৭ কিলোমিটার রাস্তা উন্নয়ন, জাঙ্গাল-কান্দাপাড়া হাজরাদি দশমিক ৬৫ কিলোমিটার রাস্তা উন্নয়ন, এশিয়ান হাইওয়ে রোড হইতে মালিভিটা মাদ্রাসা জাতীয় মহাসড়ক পর্যন্ত দশমিক ৫৫ কিলোমিটার রাস্তা উন্নয়ন, কুড়িপাড়া বটতলা-আমৈর বটতলা পর্যন্ত দশমিক ৫০ কিলোমিটার রাস্তা উন্নয়ন,  বন্দর শাহী মসজিদ-কলাবাগ ১ দশমিক ২০ কিলোমিটার রাস্তা উন্নয়ন, আইসতলা কলাবাগ ব্রীজ-উত্তর সাবদী মেইন রোড পর্যন্ত ১ কিলোমিটার রাস্তা উন্নয়ন, লাওসাররোড-কাইনালী ভিটা ১ দশমিক ১৬ কিলোমিটার রাস্তা উন্নয়ন, চুনাভুড়া-বুরুন্দী ভায়া কবরস্থান দশমিক ৭০ কিলোমিটার রাস্তা উন্নয়ন, আলীনগর-পুনাই নগর সড়ক দশমিক ৬০ কিলোমিটার রাস্তা উন্নয়ন, চাঁনপুর বিজ্ঞান পরিষদ-কলাবাগ সড়কে ৩০ মিটার রাস্তা উন্নয়ন।

এ সময় তাঁর সাথে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল ও শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সাজনু।

add-content

আরও খবর

পঠিত