নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর সংবাদদাতা ) : বন্দর উপজেলায় অনুষ্ঠিতব্য ইউপি নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করার অপরাধে মুছাপুর ইউনিয়ণ পরিষদের নিরিহ গ্রাম পুলিশ জোসনা বেগমের বেতন বোনাস বন্ধ করে দেওয়া গুরুতর অভিযোগ উঠেছে নির্বাচিত চেয়ারম্যান হাজী মাকসুদ হোসেনের বিরোদ্ধে।
ভূক্তভোগী জোসনা বেগম জানান, পারিবারিক বিষয় নিয়ে সৎ মা হালিমা বেগম মুছাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেনের নিকট গ্রাম পুলিশ জোসনার বিরোদ্ধে মৌখিক নালিশ করে। এর প্রেক্ষিতে ইউপি চেয়ারম্যান মাকসুদ উক্ত গ্রাম পুলিশের পরিষদের হাজিরা স্বাক্ষর বন্ধ করে দেয়।
এ ব্যাপারে নিরিহ গ্রাম পুলিশ জোসনা বেগম এর প্রতিকার চেয়ে তার প্রাপ্ত বেতন ও বোনাসের দাবিতে সম্প্রতি জেলা প্রসাশকের বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের তাজপুর এলাকার আব্দুল করিম মিয়ার স্ত্রী জোসনা বেগম জিবীকার তাগিদে গত ২০০৪ সালে মে মাসের ১১ তারিখে মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম পুলিশ (মহল্লাদার) পদে চাকুরীতে যোগদান করে। যাহার নিয়োগপত্র স্মরক নং- মুছা-ইউ.পি.নি./৪ (৩০)/৫ তাং- ১০-৫-২০০০৪ইং।
গ্রাম পুলিশের চাকুরীতে যোগদানের পর থেকে জোসনা বেগম সুনামের সাথে তার দায়িত্ব পালন করে আসছে। অথচ গ্রাম পুলিশ জোসনা বেগম বিগত ২০১৬ সালের ২১ মে তারিখ হইতে বর্তমান পর্যন্ত চেয়ারম্যান মাকসুদের আক্রোশের কারনে র্দীঘদিন ধরে বেতন বোনাস থেকে বঞ্চিত রয়েছে। গ্রাম পুলিশ জোসনা বেগম যথাসময়ে বন্দর উপজেলা পরিষদ ও বন্দর থানায় হাজিরা প্রদান করে গেলেও বেতন বোনাস পাচ্ছেনা র্দীঘদিন ধরে। ২ বছর ধরে বেতন বোনাস আটকে থাকার কারনে স্বামী সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে নিরিহ গ্রাম পুলিশকে। এ অবস্থা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য স্থানীয় এমপি আলহাজ্ব সেলিম ওসমান ও জেলা প্রশাসকের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভূক্তভোগী গ্রাম পুলিশ জোসনা বেগম ও তার পরিবার।
এ ব্যাপারে আলহাজ্ব মাকসুদ চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।