নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ (আড়াইহাজার প্রতিনিধি) : প্রতিটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সড়ক ও জনপদ বিভাগ বা পরিবহন খাত। প্রাচ্যের ড্যান্ডি হিসেবে পরিচিত নারায়ণগঞ্জ জেলার অন্যান্য উপজেলার মধ্যে ঐতিহ্যবাহী এবং শিল্প কারখানার উপজেলা হলো সোনারগাঁ উপজেলা। সোনারগাঁ, বন্দর ও আড়াইহাজার উপজেলার সমন্বয়ে মদনপুর আড়াইহাজার মহাসড়কটির বর্তমান অচলাবস্থা।ঢাকা সিলেট মহাসড়ক বা এশিয়ান হাইওয়ের বস্তল হয়ে প্রভাকর্দী ও আড়াই হাজার পর্যন্ত রাস্তা জুড়ে বড় বড় গর্তের কারণে প্রতিনিয়ত দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।এশিয়ান হাইওয়ের সাথে এ রাস্তার সংযোগ থাকার কারণে অন্যান্য রাস্তার তুলনায় এ রাস্তায় ভারি যানবাহন যেমন,ট্রাক,লড়ি,কভারভ্যান সহ ২৪ ঘন্টা পণ্যবাহী গাড়ী চলাচলের কারণে রাস্তায় কোন একটি গাড়ী যদি বিকল হয়ে পড়ে তার জন্য দীর্ঘ যানজটের পাশাপাশি রাস্তায় বড় গর্তে সৃষ্টি হয়।এর ফলে লক্ষ লক্ষ টাকার পণ্য সময় মতো গন্তব্য স্থলে পৌছাতে পারেনা সেই সাথে অফিসগামী কর্মব্যস্ত মানুষকে প্রতিদিনই পরতে হয় মদনপুর থেকে আড়াইহাজার রাস্তায় তীব্র যানজটে।
এই মহাসড়কটির সর্বশেষ কাজ কবে নাগাদ হয়েছিলো এমন প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সাদিপুর ইউনিয়ণ পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশীদ মোল্লা বলেন, আজ থেকে প্রায় ৭-৮ বছর পূর্বে আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে এ রাস্তাটির কাজ হয়েছিলো,তারপর বিভিন্ন সময়ে রাস্তা মেরামত করার কাজ হলেও তা সঠিকভাবে না করার কারনে একমাসের মধ্যেই আবারও রাস্তায় গর্তের সৃষ্টি হয়ে রাস্তা গাড়ী চলাচলের অযোগ্য হয়ে পরে।
এ রাস্তায় চলাচলরত ট্রাক ড্রাইভার আব্দুর রহিম জানান, রাস্তাটি খানাখন্দের কারণে আমরা প্রতিনিয়ত এ রাস্তায় যানজটে পরে থাকায় সময় মতো গন্তব্য স্থলে পৌছাতে পারিনা, তাছাড়া জালানি খরচ ও লাগে কয়েকগুন বেশি।
ব্যস্ততম এ রাস্তার কাজ কবে নাগাদ শুরু হবে এমন প্রশ্নের জবাবে সড়ক ও জনপদ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মোঃ সোহেল মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, এই রাস্তাটির অচলাবস্থা দেখে ইতিমধ্যে কয়েকবার মেরামত বা রিপেয়ার করা হয়েছে,পূর্ণাঙ্গ কাজ ধরতে আরও ১-২ মাস সময় লাগতে পারে।তবে এ ব্যস্ততম মহসড়কের মেরামতের জন্য যে টাকা ইতিমধ্যে বরাদ্দ হয়েছিলো তার সিংহ ভাগই চলে গেছে রাজনৈতিক নেতাসহ কন্ট্রাকটরের পকেটে এমনটাই দাবী সমাজের সচেতন মহল সহ সাধারণ জনগণের।