নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ডেস্ক রিপোর্ট ) : প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশকে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসাবে গড়তে চাই। বাংলাদেশ এবং বাঙালি জাতি বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলবে।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) প্যারেড গ্রাউন্ডে মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বক্তব্য দেওয়ার পর মুজিববর্ষের লোগো উন্মেচন ও ক্ষণগণনার উদ্বোধন করেন ল্যাটপটের বোতাম চেপে। দেশের ১২ সিটি করপোরেশনে ২৮টি স্পটে, ৫৩ জেলায় ও দুটি উপজেলা মিলিয়ে মোট ৮৩টি জায়গায় বসানো কাউন্টডাউন ক্লকও সঙ্গে সঙ্গে চালু হয়ে যায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়ি থেকে বঙ্গবন্ধু যে নির্দেশ দিতেন বাঙালি সে নির্দেশ মেনে চলতো। বাঙালি তার নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে মেনে প্রস্তুতি নিয়েছিলো।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি জাতি শেখ মুজিবের আহ্বানে সাড়া দিয়েছিলো। এ দেশের মানুষ যেন অন্ন পায়, বস্ত্র পায়, চিকিৎসা পায় এটাই ছিল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন। একটা কথা আমরা সবসময় চিন্তা করি, পাকিস্তানের জেলখানায় তাকে আটকে রাখা হয়। সেখানে গরমের সময় প্রচণ্ড গরম, সবসময় একটা রুমে তাকে বন্দি করে রাখা হতো। তিনি সেখানে কীভাবে ছিলেন, কীভাবে সময় কাটিয়েছেন।
তিনি বলেন, ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ আজ ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেয়েছে। আমাদের একটা অন্ধকার সময় ছিল। আজ আমরা সে অন্ধকার সময় কাটিয়ে আলোর পথে যাত্রা করেছি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বাংলার জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
উল্লেখ্য, ৪৮ বছর আগে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি লন্ডন থেকে দিল্লি হয়ে দেশে ফিরেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ঘটনাপ্রবাহের প্রতীকী মঞ্চায়নের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনার সূচনা হল।
বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা, তাদের পরিবারের সদস্য, সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য, দুই হাজারের বেশি আমন্ত্রিত অতিথি এবং দশ হাজারের বেশি নিবন্ধিত দর্শকের উপস্থিতে শুক্রবার বিকালে স্মরণ করা হয় সেই মুহূর্তটিকে, যেদিন পূর্ণতা পেয়েছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার আনন্দ।