নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর সংবাদদাতা ) : বন্দর গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের নির্বাচন নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আবারও নানা সমালোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিনত হয়েছে স্বনামধন্য ওই স্কুলটি।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, বন্দরের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ বন্দর গার্লস স্কুল এন্ড কলেজে দীর্ঘ দিন ধরে অনির্বাচিত কমিটি দিয়ে পরিচালিত হয়ে আসছে। এ কারণে প্রতিষ্ঠানে অনিয়ম আর দুর্ণীতিতে ঘিরে রাখে কলেজের স্ব-ঘোষিত অধ্যক্ষ বদরুজ্জামান ও স্ব-ঘোষিত সভাপতি হাবিবুর রহমান। প্রতিবারই তারা কোন প্রকার নির্বাচন ছাড়াই তারা অশিক্ষিতদের নিয়ে নামকাওয়াস্তে গভর্নিং গঠন করে থাকে। ইদানীং বিষয়টি অভিভাবকদের গোচরে এলে তাদের মধ্য থেকে অনেকেই নির্বাচনমুখী হয়ে ওঠেন। পকেট কমিটি গঠনের সুযোগ না থাকায় বিষয়টি নির্বাচন পর্যায়ে পৌঁছায়। তারই প্রেক্ষিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নির্দেশে বন্দর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তাকে রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ দিয়ে দ্রুত নির্বাচন সম্পন্যের অনুমোদন দেয়া হয়।
নিয়মতান্ত্রিকভাবে স্কুল নির্বাচনসমূহ সাধারণত শুক্রবারেই হয়ে থাকে। যাতে করে সরকারি-বেসরকারি চাকুরীজীবি অভিভাকরা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। কিন্তু রহস্যজনক কারণে প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষের পরামর্শ অনুযায়ী আগামী ২২ সেপ্টেম্বর নির্বাচনের দিন ধার্য করেন। যা নিয়ে গোটা অভিভাবক মহলে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি করে।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জনৈক অভিভাবক জানান, এটা নির্বাচনের কোন সিস্টেমের মধ্যে পড়েনা। আমরা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করি শুক্রবার ব্যাতিত কোনমতেই আমাদের পক্ষে সময় দেয়া সম্ভব নয়। অথচ শনিবারে নির্বাচনের দিন ধার্য্য করা হয়েছে। কোথাও দেখিনি শনিবারে নির্বাচন হয়। স্কুল-কলেজ নির্বাচনগুলো শুক্রবারেই দেয়া হয়। কার পরামর্শে নির্বাচন শনিবারে দেয়া হয়েছে তা বোধগম্য নয়। তবে এটা অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত। বিষয়টি নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের বিবচনার জন্য সবিনয় অনুরোধ জানাচ্ছি।
অপরাপর অভিভাবক একই শর্তে জানান, একটা ভাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এভাবে মনগড়া নিয়মে চলতে পারেনা। সরকারি কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠানটির সুনাম ধরে রাখতে হবে। অনিয়মে জর্জরিত হয়ে আছে প্রতিষ্ঠানটি। যেই ব্যাক্তি হাইস্কুলে প্রধাণ শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ লাভ করে সে কোন যোগ্যতায় কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দাবি করেন। বিষয়টি জনসম্মুখে তথা অভিভাবক মহলে পরিস্কার করা অত্যাবশ্যক। আর তাছাড়া এবারের নির্বাচনের বিষয়টি খুবই রহস্যের সৃষ্টি করেছে। মনোনয়নপত্রের জামানতের ফি রাখা হয়েছে ২০ হাজার টাকা। বাংলাদেশের ইতিহাসে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এরূপ নজির নেই।