বন্দরে সিএসডির সরকারি খাল অবৈধ দখলে

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর প্রতিনিধি ) : বন্দরে সিএসডির খাল দখল করে তৈরী হয়েছে অবৈধ দোকানপাট। একরামপুর ইস্পাহানি বাজার এলাকার, কিছু অর্থ লোভী ব্যক্তিরা সরকারি খাল দখল করে দোকান নির্মাণ করে ভাড়া দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সিএসডির কর্মকর্তাদের চোখের সামনেই দখল হয়ে যাচ্ছে সরকারি খালটি, কর্মকর্তারা রহস্যজনক কারণে কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না উচ্ছেদের। এ সকল দোকানপাটে প্রতিনিয়তই চলছে জুয়ার আসর, মাদক সেবন ও মাদক বেচা কিনার ধুম।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ই¯পাহানি ঘাট হতে ই¯পাহানি বাজার পর্যন্ত সিএসডির সরকারি খাল দখল করে ৫০ থেকে ৬০ টি দোকান নির্মাণ করা হয়েছে। যার মধ্যে বেশির ভাগ দোকান এলাকার মাদক ব্যবসায়ী ও নামধারি আওয়ামীলীগ নেতাদের দখলে। একাধিক দোকানে কেরাম খেলার নামে চলছে জুয়ার আসর।

এ ব্যপারে একাধিক ব্যক্তির সাথে আলাপ করে জানা যায়, ই¯পাহানি এলাকার জসিম উদ্দিন মিয়ার দখলে রয়েছে ৫/৬টি দোকান, রমজান মিয়ার ২টি, আওয়ামীলীগ নেতা রাহাত মিয়ার ১টি জুয়ার আসর, ১টি অটোরিকসার গেরেজ ও ১টি ফার্নিচারের দোকান, রায়হান মিয়ার একটি অটোরিকশার গ্যারেজ, সোহেল মিয়ার ১টি অটোরিকশা গ্যারেজ।

এ সকল দোকানের দখলীদের কাছ থেকে সিএসডির কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারী পাচ্ছে মাসোহারা টাকা। সিএসডির হেড দারোয়ান ফরহাদ হোসেন প্রতি মাসে সকল দোকান থেকে টাকা তুলে এবং নতুন কোন দোকান তোলা হলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন এবং প্রতি মাসে দোকান প্রতি ২/৩শ টাকা করে আদায় করা হয়।

এব্যপারে সিএসডির ম্যনেজার আক্তার হোসেনের সাথে আলাপ কালে বলেন, সিএসডির খালটি যারা দখল করে রেখেছে তারা স্থানীয় লোকজন। এদের একাধিক বার নোটিশ দেওয়া হলেও দোকান ভেঙ্গে নেওয়ার কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না। তাদের অবৈধ দখলের কারনে বাউন্ডারির কাজ বন্ধ রয়েছে। আমি ঊর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ করে দ্রুত উচ্ছেদের ব্যবস্থা করবো। আর দোকান থেকে মসজিদের জন্য যে টাকা তোলা হতো তা এক বছর জাবত কোন দোকানদাররা এখন দেয়না।

add-content

আরও খবর

পঠিত