বন্দরে ব্যবসায়ীর উপর হামলা

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর সংবাদদাতা ) : বন্দরে বালু ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাঁদার টাকা না পেয়ে সন্ত্রাসী আনিছ বাহিনীর সদস্যরা দেশী বিদেশী অস্ত্র দিয়ে অতর্কীত হামলা চালিয়েছে। ৮ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪ টায় বন্দর উপজেলার ফুলহর এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত শাহিন (৩০) কে উদ্ধার করে মদনপুরে দি আল বারাকা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে খানপুর ৩শত শয্যা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে সে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে বলে জানায় পরিবারের লোকজন।

আহত শাহিন জানায়, অত্র এলাকায় কিছুদিন ধরে আমরা নতুন বাড়ি করেছি। দীর্ঘদিন ধরে একই এলাকার মাদক-সন্ত্রাসী আনিছ গংরা আমার বাড়ির সামনে মাদকদ্রব্য সেবন ও বিক্রি করছে। তাকে এহেন কার্যকলাপ করতে নিষেধ করলে সে আমাকে ও আমার পরিবারের ক্ষতি করবে বলে হুমকি দেয়। পরে  বৃহস্পতিবার সকালে আমার ছেলে উদ্দেশ্যে প্রনোদিতভাবে তার ভাতিজা উপর্যপুরি মারধর করে। এ মারধরের ঘটনায় আমি আনিছ ও তার বাবা মোতালিবের কাছে বিচার দিতে গেলে তারা আমাকে বাজে গালাগাল ও চরম  অপমান করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।

এরই ধারাবাহিকতায় একই দিন বিকাল সাড়ে ৪ টায় নিজ বাড়ি থেকে লেবারদের বিল দেয়ার উদ্দেশ্যে বের হলে (১) আনিস, (২) আমজাদ, (৩) দেলোয়ার, সর্ব পিতা : মোতালিব, (৪) মোতালিব পিতা : মৃত ফজলে রহমান ও আরামান, পিতা : দেলোয়ারসহ আরো অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন আমার উপর পিস্তল, দা-বটি দিয়ে অতর্কীত হামলা চালায়। এসমময় আনিসের নিকট থাকা পিস্তলের বাট দিয়ে আমার মাথায়, পিঠে ও শরীরে আঘাত করে। আমজাদ ও দেলোয়ার দা দিয়ে আমার মাথা ও পিঠে কোপাতে থাকে। এসময় তাদের সাথে মোতালিব ও আরমান আমাকে পেছন থেকে লাথি-ঘুষি দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। আমার চিৎকারে চাচা মোসলে উদ্দিন এগিয়ে আসলে তারা আমার নিকট থাকা লেবারের বিলের ১ লক্ষ টাকা,মোবাইল ফোন ও গুরুত্বপূর্ন কাগজপত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়। যাবার সয় বলে যে, এ ঘটনায় যদি কোন মামলা করিস তাহলে তোকে ও তোর পরিবাররের সদস্যদের জীবনে মেরে ফেলব।

প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানায়, শাহিন বাড়ি থেকে বের হবার পর স্থানীয় মাদক বিক্রেতা একাধিক মামলার আসামী আনিস তার বাবা মোতালিব, ভাই আমজাদ, দেলোয়ার ও ভাতিজা আরমানসহ আরো ৪/৫ জন একত্রিত হয়ে অতর্কীত হামলা চালায়। পরে তার চাচা মোসলে উদ্দিনসহ কয়েকজন এগিয়ে আসলে তারা শাহিনকে হুমতি দিয়ে চলে যায়। পরে তাকে উদ্দার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শুনেছি তার অবস্থা নাকি খুবই খারাপ। এ হামলায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারসহ শাস্তির দাবীও জানা তারা।

এ বিষয়ে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিন মন্ডল জানান, ঘটনায় এখনও কোন অভিযোগ পাইনি। তবে অভিযোগ পেলে হামলাকারী যে হোক না কেন ছার দেয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

add-content

আরও খবর

পঠিত