নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর সংবাদদাতা ) : বন্দরে ফিটনেসবিহীণ বেপরোয়া গতির প্রাইভেটকার চাপায় গুরুতর আহত হয়েছে নিরিহ ২ অটোরিক্সা চালক। শনিবার সকাল ১১টায় থানার ২১নং ওয়ার্ডস্থ ছালেহনগর মোড় এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে । আহতরা হচ্ছে বন্দর রুপালী আবাসিক এলাকার শাকিল ও ছালেহনগর এলাকার রিক্সাচালক রবিউল।
জানা গেছে, শনিবার সকালে রবিউল ও শাকিল প্রতিদিনের মত জীবিকার টানে রিক্সা নিয়ে বের হয়। এ সময় তাদের অটোরিক্সা ছালেহনগর মোড় এলাকায় পৌছালে পেছন থেকে ( ঢাকা মেট্রো গ ১২-১৯৩৬) নম্বরের একটি প্রাইভেটকার তাদের অবৈধ ওভারটেকিংকালে ঐ দুই রিক্সাকে সজোরে আঘাত করলে রিক্সা দুটি মুহুর্তেই দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ সময় রিক্সা চালকদ্বয় ছিটকে মাটিতে পড়ে
মারাত্বক আহত হয়। স্থানীয়দের সহায়তায় আহতের দ্রুত নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠালে অবস্থা বেগতিক দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢামেক হাসপাতালে রেফার্ড করে।
এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা ঘাতক ড্রাইভারকে জিম্মি করে গাড়িটি ভাংচুর করে। সংবাদ পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দূর্ঘটনা কবলিত প্রাইভেট কারটি জব্দ করে ও চালক সারোয়ার কৌশলে পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, বন্দর থানার ছালেনগর এলাকার মনিরুলের ছেলে সারোয়ার ওরফে গুড্ডু একটি ফিটনেসবিহীণ প্রাইভেটকার নিয়ে শাহীমসজিদ টু রুপালী রোডের মাঝামাঝি ছালেনগর মোড়ে উল্টোপথে বেপরোয়া গতিতে সজোরে ওভারটেকিংকালে পেছন থেকে ২টি অটোরিক্সাকে ধাক্কা দেয়। সাথে সাথে অটোরিক্সা দুটি ধুমড়ে-মুচড়ে যায়। অটোরিক্সার ২ চালক রাস্তায় ছিটকে পড়ে মারাত্বক আহত হয়। আহত ২ চালককেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তারা আরো জানায়,ঘাতক চালকের পিতা মনিরুল দূর্ঘটনার ১ ঘন্টা পর বাড়িতে এসে বলে, আমার সমস্যা আমি সমাধাণ করব। আমার প্রাইভেটকারটিতে কে হাত দিয়েছে। আমি তাকে দেখে নিব। আমি মাত্র এসপি অফিস থেকে এসেছি। নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মতিয়ার আমার ভাই। আমার গাড়ী থানায় নিয়ে যেতে দিব না। পরবর্তীতে মনিরুল গাড়ীটি থানায় না নেয়ার জন্য বন্দর থানার এএসআই ইলিয়াসখানকে ম্যানেজের চেষ্টা করে কোন সুফল পায়নি।
এ ব্যাপারে এএসআই ইলিয়াস খানের সাথে আলাপ করলে তিনি জানান, প্রাইভেটকার চালক নেশাগ্রস্ত ছিল তাই বেপরোয়া গতিতে ওভারটেকিংকালে এ দূর্ঘটনা ঘটে। প্রাইভেটকারটি অমরা থানায় নিয়ে যাচ্ছি তবে অভিযোগ পেলে চালকের বিরোদ্ধে মামলা হবে।